পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শরীর অত্যন্ত উৎপীড়িত হওয়াতে তাড়াতাড়ি পালিয়ে এসেছি । নানা লোকের নানাবিধ দাবী আমাকে আক্রমণ করেছিল। তোমার সেতার শোনবার জন্তে সবুর করতে পারলুম না। কিন্তু কালোহয়ং নিরবধিঃ –ভবিষ্যতের সীমা নেই । ইতি ২৬ অক্টোবর ১৯৩৬ শুভার্থী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর У о ২৩ ডিসেম্বর ১৯৩৭ wo \G কল্যাণীয়েষ্ণু তোমার চিঠিখানি পড়ে খুশি হলুম। ধৰ্ম্মের যে দিকটা বিশুদ্ধভাবে আধ্যাত্মিক, সেখানে ধৰ্ম্ম স্বপ্রতিষ্ঠ । যে দিক প্রাকৃতিক সে দিকে ইতিহাস বা বিজ্ঞানের বিচার চলবেই। যেখানে খৃষ্ট ভক্তের খৃষ্ট সেখানে তিনি র্তার আধ্যাত্মিক সম্পদে মহীয়ান, সেখানে বিজ্ঞানের অধিকার নেই– কিন্তু যেখানে জেরুসালেমে র্তার জন্মকথা কীৰ্ত্তিত হয়েছে সেখানে তার জন্মবিবরণ সম্বন্ধে বিজ্ঞানের বিচার মানব, মানলেও তাকে খৰ্ব্ব করা হয় না। বুদ্ধ সম্বন্ধেও সেই একই কথা ; বুদ্ধ যে পূজনীয় তার কারণ এ নয় যে তার ইতিহাস অতিপ্রাকৃত, তার কারণ র্তার চরিত্রমহিমা অলোকসামান্ত । ভগবদগীতায় শ্রীকৃষ্ণের মহাবাণী মহীয়সী, ইতিহাস যদি বলে ব্যাধের হাতে র্তার