পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

না, তোমার সঙ্গে আমি কিছুতেই ঝগড়া করব না। মতের মিল না হলেও আমি চুপচাপ থাকব। শুনে আশ্চর্য্য হবে তোমার সঙ্গে অামার ধৰ্ম্মের অমিল নেই। আমি দীক্ষা নিই নি, নেবও না । আমার ভগবান কোনো সম্প্রদায়ের ছাচে ঢালা ভগবান নন। তিনি নিরাকার তাই অন্তহীন আকার র্তার-— তার সৃষ্টিতে র্তার আকার ছাড়া আকার অসিবে কোথা থেকে। কারো হাতগড়া মনগড়া আকার নয় র্তার— কোনো বিশেষ স্থানে বিশেষ কালে বিশেষ রূপে সীমাবদ্ধ নন তিনি । যে সব প্রচলিত আচারের কোনোই অর্থ নেই— যেমন গ্রহণের সময় গঙ্গাস্বান করা— তাকে মানতে গেলে নিজের বুদ্ধিকে অপমানিত করা হয়— এই বুদ্ধি ভগবানেরই দান। যারা অর্থহীন ক্রিয়াকর্মের মূঢ়তায় ভারগ্রস্ত তাদের মন শেওলায় বাধাগ্রস্ত জলের মতো গতিহীন, অন্ধ, অস্বাস্থ্যময়-— তারা শত শত বৎসর পরের কানমলা খেয়ে অপমানে নত হয়ে থাকে, তারা অসংখ্য বার্থতা দ্বারা শতধাবিভক্ত । জীবহত্যা সম্বন্ধে তোমার সঙ্গে আমি একমত— অনিচ্ছাক্রমে কখনো কখনো মাছ মাংস খেয়ে থাকি, সেটাকে আমি অপরাধ বলেই গণ্য করি । এক সময়ে সুদীর্ঘকাল নিরামিষাশী ছিলেম— এখনো আমিষভোজন কচিৎ হয় । মিলিয়ে দেখো, তোমার সঙ্গে আমার ধৰ্ম্মমতের প্রভেদ নেই । তার কারণ তোমারও তরুণ মন, আমারও তাই । অন্তান্ত রোগের মতোই মূঢ়তা দুর্বল মনকেই অধিকার করে, এই 8)*