পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যখন কলকাতায় যাব কোনো সুযোগে হয়ত দেখা হতে পারে। সম্প্রতি আমার বোমা তার সংসার নিয়ে দার্জিলিঙে আছেন— সেই জন্য কলকাতায় গেলে জোড়ার্সাকোর শূন্য বাড়িতে না থেকে স্নেহাস্পদ প্রশান্তকুমারের বরাহনগবের বাগানবাড়িতে দুই চার দিন থেকে আবার এখানে পালিয়ে আসি । সেখানে তুমি হয়ত যেতে সঙ্কোচ বোধ করবে। জোড়ার্সাকোর বাড়িতে যদি আসতে পারো বড়োমানুষির বাধা পাবে না । আগে থাকতে যদি জানতে পারি তবে কোনো অসুবিধা হবে না । কিন্তু কবে কলকাতায় যাব জানি নে— যাবার একটুও ইচ্ছে নেই এইটুকু বলতে পারিনে। এতবড়ো চিঠি লেখা আমার পক্ষে অত্যন্ত দুঃসাধ্য। কিন্তু যে আমাকে সত্যই বুঝতে চায় সে আমাকে পাছে একটুও ভুল বুঝে অস্থানে অৰ্ঘ্য আহরণ করে এটাতে আমার একান্ত অনভিরুচি বলেই এতটা লিখতে হোলো । হয়তো কিছু অহঙ্কারের মত শোনাচ্চে কিন্তু নিজের সম্বন্ধে আমার ধারণা যদি অহঙ্কত ধারণাই হয় সেটাও প্রকাশ হওয়াই ভালো ইতি ৩০ বৈশাখ ১৩৩৮ শুভাকাজক্ষী শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর আমার নিরতিশয় ব্যস্ততার মধ্যে আমি নতুন কবিতা স্বহস্তে লিখে শ্ৰীপতি বস্তুকে পাঠিয়েছি সেটা কোথায় অন্তৰ্দ্ধান করল ? তার পরিবর্তে শ্ৰীপতির এক অভিমানক্ষুব্ধ পত্র পেলুম— এ পত্র পোষ্টবিভাগের কৰ্ত্তাদের প্রাপ্য। তোমরা কোন চিঠি পাও কোনটা পাও না তাও নির্ণয় করা অসাধ্য २ **