পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

যিনি সঙ্গীত বিভাগের প্রধান, তিনি এতদিন ৭৫ টাকা বেতনে কাজ করেছেন। তিনি আরো উচ্চতর বেতনের যোগ্য,— নিতান্তই অশক্তিবশত র্তাকে যথোচিত বৃত্তি দিতে পারিনি, আমাদের অবস্থার কথা চিন্তা ক’রে তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন। আয়েৎ আলির সঙ্গে বেতনের তুলনা ক’রে র্তার ক্ষোভের কারণ হয়েছে। আয়েৎ আলি যদি যন্ত্রবিদ্যায় যথার্থই পরদর্শী হোতেন তাহোলে সাম্বন পাওয়া যেত। তা না হওয়াতে আমরা মুস্কিলে পড়েছি। এদিকে ক্লাস আরম্ভ হয়ে গেছে । শীঘ্ৰ লোক পাওয়া যাবে এমন আশা দেখিনে, পূর্বে চেষ্টাও করেছি। কী করা কৰ্ত্তব্য বন্ধুভাবে তোমার পরামর্শ চাই । তুমি এখন কোথায় আছ জানিনে। যদি পাহাড় থেকে নেমে থাকো এখানে এলে সমস্ত অবস্থা বুঝতে পারবে । এখানকার সঙ্গীতবিভাগের সঙ্গে তোমার যোগ থাকে এই আমার ইচ্ছা— আমাদের এই কাজটি তোমার আপন কাজ বলে যদি গ্রহণ করে। তবে তা আমার পক্ষে বিশেষ আনন্দের বিষয় হবে। ইতি ২৯ জুলাই ১৯৩৫ [ ১৩ শ্রাবণ ১৩৪২ ] শুভানুধ্যায়ী রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর