পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আগলে দাড়ালেন । জ্বর আমার প্রায়ই হয় না। এবারকার মতো চুকে গেল । আর একটা কথার উপর তোমার মন হু চটু খেয়েছে। সে হচ্চে শ্রীযুক্ত । ও বিশেষণটা ভীমের তুণেই মানায়— আমি সব্যসাচীর চেলা । যিনি খামের যোগে তোমার প্রতি এই সংজ্ঞা প্রয়োগ করেছিলেন তিনি আমার সহকারী শ্ৰীযুক্ত অমিয়চন্দ্ৰ— র্তার সুকুমার নামকে শ্রমান পদবীতে ভূষিত করলুম না। শিক্ষার জন্তে ভ্রমরস্ত পেলবং পদং সরিয়ে দিয়ে পতত্রীকে বসানো গেল । আরো একটা বিষয়ে তিনি স্বাধিকারপ্রমত্ত হয়ে পরের অধিকারকে লঙ্ঘন করেছেন । শ্রীপতির নামে যে কবিতা আমি বিশেষ করে রওনা করেছিলুম তার উপর তিনি দক্ষবালার স্বত্ব স্থাপন করেছেন। এ কথা বলে রাখি, নামীর প্রতি যাই হোক ঐ নামের প্রতি আমার লেশমাত্র পক্ষপাত নেই। যিনি প্রমাদ ঘটিয়েছেন তিনি এই আশু অপরাধের পূর্বেই কিছুকাল থেকেই কাস্তাবিরহগুরুণা শাপেনাস্তংগমিতমহিমা । অতএব তার ভ্রম সংশোধন করে তাকে ক্ষমার্হ করে নিয়ো । এই উপলক্ষ্যে আর একটি কথা আছে । তোমার পরে আমার কোনো শাপ লাগে নি । তোমার জীবনের যন্ত্র এবং আমার যন্ত্রে তারের কিছু তফাৎ আছে। তবুও এক ওস্তাদ আর এক ওস্তাদকে চেনে এবং বাহবা দেয় । আমার বাহবা পেয়েছ । কিন্তু জ্বরতাপ চড়ে যাচ্চে । তুমি অকারণে নিজেকে পীড়ন কোরো না । ইতি ১ জ্যৈষ্ঠ ১৩৩৮ শুভানুধ্যায়ী শ্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর woS