পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২০ অক্টোবর ১৯৩৮ હૈં শান্তিনিকেতন নাচনবাবু , একেবারে খাটি আধুনিক তুমি । পাজিও সেই কথা বলে, তোমার ভাষার থেকেও তার প্রমাণ পাই । এ ভাষায় শব্দ আছে যথেষ্ট কিন্তু অর্থ খুজে পাইনে। ভাষা যে কিছু বোঝাবার জন্যে সে দায়িত্ব বুঝি একেবারে অস্বীকার করেছ। আমি সেকেলে লোক অামার কেমন একটা ধারণা হয়ে গেছে যে, য! বলব সেটা যেন পাচজনে বুঝতে পারে। যেন না ভাবতে বসে আমি পাগল হয়েছি, না, তারা পাগল হয়েছে। পাচজনের সম্বন্ধে তোমার মনের এই দীনতা নেই-— তার থেকে প্রমাণ হয় তুমি আধুনিক। যারা সাধারণ ব্যক্তি তারা অন্তকে লক্ষ্য ক’রে যা বলে তা বোঝা যায়– তুমি অসাধারণ, তুমি আধুনিক, তুমি কা’কে লক্ষ্য ক’রে কী যে বলে তা যারা বোঝে তারাও তোমার মতোই অদ্বিতীয় । আমার শব্দের মধ্যে অর্থ ঢুকে পড়েছে— ওটা বয়সের দোষ । জ্ঞানবৃক্ষের ফল খাওয়ার পর থেকেই এই বিভ্ৰাট ঘটেছে। তোমার মতোই আধুনিকতার প্রতিভা নিয়ে জন্মেছিলুম কিন্তু লজ্জা এসে গেছে । তোমার অজস্র ক্ষমতা আছে লজ্জা না পাবার। এর থেকে বুঝি তুমি খাটি । তোমার অসংলগ্ন বাক্যাবলীতে ভক্তবৃন্দ মুগ্ধ হয়ে যায় । আমার সাহস নেই । আজ কিছু কালের মতো তোমারি জিৎ রইল নাচনচন্দ্ৰ— কিন্তু কাল ! বলা যায় না, যদি জাতশ শ্রী আধুনিকতার ছোয়াচ তোমার ভাষায় লাগে তাহলে আমাকে 8 (t૨