পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৭৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

লক্ষ্য ক’রে যা বলবে সেই শব্দভেদী বাণ গিয়ে পৌছবে একেবারে বৈতরণীতীরে । দোহাই তোমার আমার কথার মধেT সহজ অর্থ খুজে পেয়ে তোমার মনে যদি অত্যন্ত ধিক্কার জন্মে তাহলে কথাগুলোকে উলটে পালটে দিয়ো— তোমাদের কাজ চলবে । একটা নমুনা দেখাই— কুলে গরজে। গগনে বসে আছি। মেঘ একা, ভরসা নাহি ঘন বরষা । মনে হচ্ছে না কি, কিছু যেন বলা হোলো, কিন্তু কী যে তা বোঝবার দরকারই নেই । তোমার অভিনন্দনপত্রে বীর হও এ আশা জানিয়েছি কিন্তু কবি হও এ কামনা করি নি । হোতে হোতে হয়তো তোমার ভাষা কোথায় গিয়ে পৌছবে বলা যায় না, কোন অকথনীয়ে কোন অচিন্তনীয়ে, বাক্যকলেবরের কোন অসংযুক্ত অপঘাতে, তখন তুমি কি আমাকে ক্ষমা করতে পারবে, যে হেতু বুঝিয়ে বলার চির-প্রচলিত সংস্কারে আমি অভ্যস্ত । যে হেতু এ কালের পরে আমার বিশ্বাস ছিল না, অামার বিশ্বাস চিরকালের পরে । পুনশ্চ নিবেদন ;– আর বিশ বছর পরের তারিখের প্রতি লক্ষ্য করে আমার এ চিঠি লেখা । ইতিমধ্যে তোমার কাকলীপর্ব শেষ হোক | তোমার এখনকার কলালাপ তর্জমা করবার ভার নিয়েছেন দিদিম । কিন্তু ভুল করেছেন সন্দেহ নেই, কেননা তিনি যা ব্যাখ্যা করেছেন তার আগাগোড়া বোঝা গেল । হে অভাষিক, হে আধুনিক, এই আমার বুঝতে-পারা-ভাষার সহজ 8 QVう