পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

না । ইংরেজ যখন একদা সমস্ত চীনদেশের কণ্ঠের মধ্যে তলোয়ারের ডগা দিয়ে আফিমের গোলা ঠেসে দিয়ে তাদের আরাধ্য দেবতাকে চিরদিনের মত অপমানিত করলে, তখন এ পাপ থেকে অস্তত তারা বৈষয়িক পুরস্কার পেয়েছে । কিন্তু কল্পনা কর, দক্ষিণ-চীন যদি রাগের মাথায় উত্তর-চানের মুখে বিষ ঢালতে থাকে, তাতে চীনের যে মৃত্যুর ہ عے _. সঞ্চার হবে, তাতে দক্ষিণ তার থেকে নিস্কৃতি পাবে না। আত্মীয়দের শত্রুতাস্থলে জিৎলেও মৃত্যু, হারলেও মৃত্যু। আমাদের মধ্যে যে-কোনো সম্প্রদায় উগ্র উৎসাহে স্বাঞ্জাতিক সত্তার মূলে যদি কুঠার চালায়, তবে নিজে উচ্চ শাখায় নিরাপদে আছে মনে ক’রে খুসি হওয়াটা অধিকদিন টে কে না । দুঃখ এই, এই সব কথা দুঃখের দিনেই কানে সহজে পৌছয় না । যখন মানুষের রিপু যে-কোনো কারণেই উত্তেজিত হয়, তখন আত্মীয়কে আঘাতের দ্বারা মানুষ আত্মহত্যা করতেও কুষ্ঠিত হয় না । ইতিহাসে শোচনীয়তম ঘটনা যা ঘটে, তা এমনি করেই ঘটে । মরবার বুদ্ধি পেয়ে বসলে মানুষ আপনিই মরবে জেনেও অন্যকে মারে । আমাদের সাধনা আজ কঠিন হয়ে উঠল। আজ অসহ আঘাতেও আত্মসম্বরণ করতে যদি না পারি, তবে অামাদের তরফেও আত্মহত্যার আয়োজন করা হবে ; শত্রু গ্রহের হবে জয় । মন ক্ষুব্ধ আছে বলেই তামার চিঠির মধ্যে এ-সব কথা লিগ লুম। কথাটা এ স্থলে প্রাসঙ্গিক না ত'তে পারে, কিন্তু মৰ্ম্মাস্তিক । ইতি ২০শে ভাদ্র, ১৩৩৮ । [ ৬ সেপ্টেম্বর ১৯৩১ ] শ্ৰীমতী হেমন্তবtলাদেবীকে লিখিত ৩৯-সংখ্যক পত্র দ্রষ্টব্য 8や)