পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চরিতামৃতের এই শ্লোক পর্যালোচনা করিলেই । “রাধাকৃষ্ণপ্রণয়বিকুতি হলদিনী শক্তিরক্ষ্মাৎ একাত্মানে অপি, ভুবি পুরা দেহভেদে গতৌ তৌ চৈতন্যাখ্য' প্রকটমধুনা তদ্বয়ং চৈক্যমাপ্তং রাধাভািবদ্যুতিগুবলিতং নোমি কৃষ্ণস্বরূপং ” শ্রীরাধা শ্রীকৃষ্ণের প্রণয়বিকৃতি হলাদিনী শক্তি, অতএব উভয়ে একাত্মা । একাত্মা হইয়াও ভূমণ্ডলে অবতরণকালে দেহভেদে দ্বিধা হইয়াছিলেন । এক্ষণে ঐ দুই এক হইয়া চৈতন্ত নাম ধারণ করিয়াছেন । সেই রাধাভাবদ্যুতি-সুবলিত শ্ৰীকৃষ্ণস্বরূপ চৈতন্যকে প্রণাম করি ...... অামি আপনাকে স্বধৰ্ম্ম প্ৰষ্ট হইয়া বৈষ্ণবধৰ্ম্ম গ্রহণ করিতে অনুরোধ করার স্পৰ্দ্ধা রাখি না। আমি শুধু বলি, আপনি যেন অমুকুলনেত্রেই ইহাকে দেখেন— প্রতিকুল ন হন । আপনি যেন বিশ্বাস করেন, যে, আসল বৈষ্ণবধৰ্ম্ম যাহা, তাহ প্রকৃতপক্ষে কামনাকালুষিত নয়। তাহার অনুশীলনে নিৰ্ম্মল ভগবৎপ্রেমানন্দ প্রাপ্তি হয় । আপনার অন্তরও তাহাই চায়, ভাবিয়া দেখিবেন । আমি নিজদোষে বঞ্চিত বলিয়া ধৰ্ম্ম দোষী নন । আমার ইচ্ছা করে, আমার সতীর্থগণ ধারা প্রকৃত নিৰ্ম্মল ভক্তিমান— তাহারা দেশে দেশে এই মঙ্গলবার্তা প্রচার করুন। কিন্তু, তাহার। “প্রচার” ভালবাসেন না। যাক ... আমি একে দীনহীন মলিন, অলস জড় অকৰ্ম্মণ্য ও কামনাকলষিত, তাহাতে আবার বন্দী। আমার বন্ধন কেহ দয়া করিয়৷ যদি খুলিয়া দেয়, তবে আমিও প্রাণস্পর্শে নিৰ্ম্মল হইব, অন্ততঃ কিছুকালের জন্য । আমাকে ছাড়িয় দিক, আমি একবার দেশদেশান্তরে ঘুরিয়া আসি । কিন্তু, যতদিন বাচিব, আমার নিত্য কারাদশা ঘুচিবে না। আমি মুক্তি পাইব না । “গেীরনামের জয়পতাকা উড়াইব দেশ বিদেশে” 8ማ ዓ