পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫০৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মনে তখন পরিতাপের উদয় হল, এই প্রাচীন প্রবীণ পূজনীয় ব্যক্তিটির সঙ্গে কপট ব্যবহার করেছি বলে’, অভিভাবকদের ভয়েই অবশু আত্মপরিচয় দিই নি তখন । কিন্তু এখন সমস্ত ভয়-সংকোচের বাধা ঠেলে ফেলে একদিন তাকে নিজের পরিচয় আর প্রচলিত নামটি জানিয়ে দিলাম পত্ৰযোগে । কবি আষাঢ় মাসে কলকাতায় এলেন । আমার ভাই গিয়েছিলেন দেখা করতে । কবি বললেন, ‘বীরেন্দ্রকিশোর, তোমার দিদি ইস্কুলকলেজে পড়েন নি, কিন্তু তার লেখা দেখে তা বোঝা যায় না? ইত্যাদি, আমাকে একবার দেখতে চাইলেন । আমার ছেলে, বাড়ির অন্য সকলের প্রতিকূলতায় পাছে বিঘ্ন ঘটে এজন্য অন্য সকলের অগোচরে, ২৪ আষাঢ় ১৩৩৮ [ ৯ জুলাই ১৯৩১ ] আমাকে নিয়ে জোড়ার্সাকোয় যান, সেই প্রথম দৰ্শন । সেই মুহূৰ্ত্ত থেকেই আমার জীবনে একটি স্মরণীয় পরিবর্তন আসে । নানা কথা, সব মনে নেই ; আমি জপ করে থাকি শুনে স্মিতমুখে বললেন, “আমিও জপ করি’— তার পর কয়েকটি সংস্কৃত শ্লোক এমন করে আবৃত্তি করলেন যে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম । প্রণাম করে যখন উঠে আসি, মনে হয়েছিল, আমি তীর্থস্নান করে উঠলাম । 8br"