পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫০৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শ্ৰীগুরুদেব বহুদিন পুৰ্ব্বে অস্তহিত । তার স্মৃতি শোকস্মৃতি । এবংবিধ মনের অবস্থায় আশ্রয় প্রাথিনী হইয়! কবিগুরুর কাছে আসি । কবি গুরু আমার নিকট হইতে কিছুই পাম নাই বা প্রত্যাশা ও করেন নাই, তিনি আমার ক্ষুধিত পিপাসিত বঞ্চিত চিত্তকে কিছুদিনের জন্য আশ্রয় দিয়াছিলেন ; কিছু সোঁহাদোর,কিছু করুণার,কিছু স্নেহের আস্বাদ দিয়াছিলেন। আমি শরাণী মহলানবিশ, শ্রীরাণী চন্দ, শ্ৰমৈত্রেয়ী দেবী এবং অন্যান্তদের মত উহার সেবাযত্ব শুশ্ৰষা করিবার সৌভাগ্য অর্জন করি নাই । . আমি বাহিরের লোক, মাঝে মাঝে আসিয়া চোখের দেখা দেখিত মি ও বিশ্রামভঙ্গ করিয়৷ বিরক্ত করিতাম, তার কোনো কাজেই অাসি নাই । উহার সম্পর্শে আমি মুক্তির আনন্দ পাইতাম । তাই নানা কৌশলে পত্র আদায় করিতাম। জোড়ার্সাকোয়, বরানগরে, খড়দহে, বেলঘরিয়ায় মাঝে মাঝে আসিয়া দেখা করিয়াছি। পুত্রকন্যা বধূজামাতা ও অন্যান্ত আ স্ট্রীয়স্বজনকে সঙ্গে করিয়াও আসিয়াছি । আমার মত ঘোর বিরুদ্ধপক্ষীয়া, অশিক্ষিতা, শিষ্টাচারে অনভিজ্ঞা, মুখ স্ত্রীলোককে তিনি দীর্ঘদিন ধরিয়া যাবতীয় দোষত্রুটি-সমেত সহ করিয়াছেন, আজ সে কথা ভাবিলে আশ্চর্যান্বিত হই । দেশ কাল পাত্র, শিক্ষা ও মতামত, আচার ব্যবহার, ধৰ্ম্মমত ও বয়স— প্রতোক বিষয়েই আকাশ পাতাল ব্যবধান ছিল । তৰু তাহার শুভাকাঙ্ক্ষা কখনোই বাধাগ্রস্ত হয় নাই । বুদ্ধির দোষে কত দুৰ্ব্ব্যবহার করিয়াছি, তাহা ও সহ্য করিয়াছেন । আমার সস্তানদের কথ। ভালিয়াছেন, আমার কন্যাকে তিনি বিশেষ স্নেহ করিয়াছেন । এত বেশী ব্যবধানের দূরত্ব অক্লেশে অতিক্রম করিয়া তিনি আমাদের পরিবারের পরমাত্মীয় সমব্যর্থী দরদী বান্ধব হইয়াছিলেন, কত সময় 9b ●