পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫১০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

কথালাপে বিক্ষুব্ধ মনকে স্নিগ্ধ করিয়া রাথিতেন । কত হাস্য পরিহাস করিয়াছেন, সমুপদেশ দিয়াছেন, এমন-কি অর্থসাহায্য পৰ্য্যন্ত করিয়াছেন, তুচ্ছ বলিয়া উপেক্ষ অবহেলা কখনো করেন নাই। আমার কোনো দিনলিপি রাখার সুবিধা ছিল না বলিয়া যথাযথ বিবরণ অবিকল দিতে পারিব না মনে করিয়া আমি বিশেষ কিছু লিখিতে সংকোচ বোধ করি । যে ধৰ্ম্মনিষ্ঠা লইয়া তর্কবিতর্ক ছিল, তাহার পরিণামে এক সময়ে আধ্যাত্মিক অভিভাবকেরা আমার প্রতি রুষ্ট হইয়া সাময়িক বিচ্ছেদ আনয়ন করেন । তখন তিনি বলিয়াছিলেন, আমাকে নিজের ধৰ্ম্ম নিজেই আবিষ্কার করিয়া লইতে হইবে । সে ভবিষ্যদবাণী কিছুটা ফলিয়াছে, আমি এক রকম করিয়া মনের দ্বন্দ্ব মিটাইয়া শান্তি পাইয়াছি । কিন্তু তিনি এখন তাহা জানিলেন না । —শ্ৰীহেমন্তবালা দেবী রবীন্দ্রনাথের পরিচয় হেমন্তবালা দেবীর নিকটে যেভাবে উদ্ভাসিত হইয়া উঠিয়াছে, তাহার অপ্রকাশিত নানা রচনায় তাহারও আভাস পাওয়া যায় । বর্তমান পত্রধারার পরিপ্রেক্ষিতে সেরূপ একটি রচনা বিশেষ ঔৎসুক্যজনক ও অনুধাবনযোগ্য মনে হয়, এজন্য পরবতী কয়েক পৃষ্ঠায় উহা সংকলিত হইল — 8ゼや