পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫১৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শুধায়ো না মোরে তুমি মুক্তি কোথা, মুক্তি করে কই, আমি তো সাধক নই, আমি গুরু নই। অামি কবি, আছি ধরণীর অতি কাছাকাছি এ পারের খেয়ার ঘাটায় । * বস্তুতঃ, ‘আমি গুরু মই আমি কবি রবীন্দ্রনাথ এই কথাটি দীর্ঘজীবনে নানা সূত্রেই বলিয়াছেন ; এই প্রসঙ্গে, অজিতকুমার চক্রবর্তীকে লিখিত একটি পুরাতন চিঠি ( ১৯১২ ) এ স্থলে উদ্ভূত হইল ; ১০৫-সংখ্যক পত্রের অমুসঙ্গে, অজিতকুমারকে লিখিত আরও পুরাতন একটি চিঠি ( ১৯১০ ) অন্যত্র মুদ্রিত হইবে । — { লণ্ডন ১৯১২ ] আমি এ পৃথিবীতে প্রণাম বঁচিয়ে চলতে চাই ; যদি পাই তবে সেটা প্রকাশ করতে ইচ্ছা করি নে— কেননা, ওটা কিছুতেই তামার পাওনা নয় । পৃথিবীতে কবির দাবির উচ্চ সীমা কোলাকুলি পৰ্য্যন্ত— প্ৰণামের দ্বারা তার জাত যায়— আমি কবি ছাড়া যে আর কিছু নাই সে বিষয়ে কোনো সন্দেহমাত্র নেই। আমি তোমাদের হৃদয়ের সমভূমিতেই দাড়াতে চাই - সেইখানেই আমার যথার্থ স্থান— উচ্চ ভূমিতে আমি সম্পূর্ণ অনাবশুক। আমি তোমাদের বারবার বলেছি আবার বলচি– আমাকে ভুল আসনে তোমরা বসিয়ে না— সেটা হয়ত সম্মানের জায়গা হতেও পারে কিন্তু তেমন অমুথের জায়গা আর কিছু নয়— যে পাগড়ি মাথায় হয় না সেই পাগড়ি পরার মত— সৰ্ব্বদা মনে হয় পড়ে যাবে এবং মাথা ধরে ওঠে । আমি তোমাদের বন্ধু, কিছু দেব কিছু নেব। যদি আমার ভাগ্যক্রমে দেওয়া-বিষয়ে আমার জিত হয় তবু সে বন্ধুত্বেরই দান, সুতরাং তার জন্যে ফিরে আমি কিছু দাবি করব না । গুরুর পদ আমার নয়, নয়, নয় । আমি নিজে কিছু শিথি নি 8公@