পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

উত্থাপিত করিয়াছেন । তিনি স্পষ্ট ভাষায় বার-বার বলিয়াছেন— মিষ্টার কেম্ ইচ্ছা করিয়া কৰ্ত্তব্য পালন করেন নাই, এবং তাহার আচরণ হইতে প্রমাণিত হয়, যে, তিনি জানিয়া শুনিয়া চট্টগ্রামের নিরপরাধ শহরবাসীদের বাড়িঘর ও দোকানপাট লুঠ করিবার জন্ত (গুণ্ডাদের ) প্ররোচনা দিয়াছেন --- কলিকাতা টাউন হলের সভায় স্পষ্টই বলা হইয়াছে..যে, চাটগায়ে লুট্যেরারা যাহা করিয়াছে, তাহা সরকারী কোন কোন কৰ্ম্মচারীর সাক্ষাৎ বা পরোক্ষ প্ররোচনা বা প্রশ্রয়েই করিয়া থাকিবে ; নতুবা এমন নির্তয়ে বিনা বাধায় এমন ভয়ানক বে-আইনী এত কাজ তাহারা কেমন করিয়া করিতে পারিল ? – বিবিধ প্রসঙ্গ । প্রবাসী, আশ্বিন ১৩৩৮ ভদেব । এই চিঠি থেকে কথাগুলো নিয়ে চিঠির আকারেই প্রবাসীতে পাঠাব স্থির করেচি। ১৩৩৮ আশ্বিনের প্রবাসী পত্রে ‘আত্মীয়বিরোধ’ নামে ইহা প্রকাশিত হয়, এই গ্রন্থের প্রথম পরিশিষ্ট্রে সংকলিত । ১৩৩৮ শ্রাবণের প্রবাসী পত্রে মুদ্রিত ও কালাস্তর গ্রন্থে সংকলিত ‘হিন্দু মুসলমান প্রবন্ধটিও দ্রষ্টব্য। সর্ববঙ্গ মুসলিম ছাত্রসন্মিলনীর উদ্দেশুে প্রেরিত লেখা নিম্নে মুদ্রিত হইল— সৰ্ব্ববঙ্গ মুসলিম ছাত্রসন্মিলনীর প্রতি সম্বেদন আমাদের দেশে অন্ধকার রাত্রি । মানুষের মন চাপা পড়েচে । তাই অবুদ্ধি, দুৰ্ব্বদ্ধি, ভেদবুদ্ধিতে সমস্ত জাতি পীড়িত। আশ্রয়ের আশায় অল্পমাত্র যা-কিছু গ'ড়ে তুলি তা নিজেরই মাথার উপরে ভেঙে ভেঙে পড়ে । আমাদের শুভ চেষ্টাও খণ্ড খণ্ড হ'য়ে দেশকে আহত করচে । আত্মীয়কে অবাত করার আত্মঘাত যে কি সৰ্ব্বনেশে সে কথা বুঝেও বুঝিনে । যে-শিক্ষা লাভ করচি ভাগ্যদোষে সেই শিক্ষাই বিকৃত হয়ে আমাদের ভ্রাতৃবিদ্বেষের অন্ত্র জোগাচ্চে । & es