পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

পত্র ১০১ । ‘তারা জানে.শ্রুতিস্থখকর নয় ( পৃ ১৭৭ )। ১৯১৬ সালে জাপানে গিয়া জাপানের পাশ্চাত্যাচুকরণ সম্বন্ধে কবি যে সাবধানবাণী উচ্চারণ করিয়াছিলেন Nationalism গ্রন্থে এবং জাপান-যাত্রীর ( ১৩৬৯ সংস্করণ ) গ্রন্থপরিচয়ে তাহা মুদ্রিত আছে। জাপানীদের অনেকে এসকল উক্তি অমুকুলভাবে গ্রহণ করেন নাই । আমেরিকায় মার্কিনী সভ্যতা সম্বন্ধে প্রতিকূল উক্তি করিয়া রবীন্দ্রনাথ মার্কিন পত্রিকাদির কিরূপ অপ্রতিভাজন হইয়াছিলেন, অধ্যাপক ষ্টিফেন হে সম্প্রতি সে বিষয়ে আলোচনা করিয়াছেন । তদেব। ‘যখন জালিয়ানবাগ ব্যাপারে আমি ছাড়া আর সকলেই নীরব ছিলেন । এই প্রসঙ্গে শ্রীপ্রশান্তচন্দ্র মহলানবিশ -লিখিত একটি প্রবন্ধের অংশবিশেষ উদ্ধৃত হইল— ১৯১৯ সাল । গরমের ছুটি হয়ে গিয়েছে। কলেজ বন্ধ। বাইরে যাইনি। পাঞ্জাবের কথা অল্প অল্প করে আসছে লোকমুথে। কবি জোড়ার্সকোর বাড়িতে । কিছু খবরের কাগজে, কিছু চিঠিতে, জালিয়ানালা-বাগের খবর এসে পৌছচ্ছে । রুচিরাম সাহ নির কাছ থেকে অনেক কথা একদিন বনোয়ারিলাল চৌধুরী কবিকে এসে শুনিয়ে গেলেন । কবি সেই সব শুনে ক্রমেই এমন অস্থির হয়ে পড়লেন যে আমাদের ভাবিয়ে দিলে। রথীবাবুরা বাইরে । আমি মেজোমামাকে ( সার নীলরতন সরকার ) ডেকে আনলুম। কবির শরীর তখন এমন দুর্বল যে দোতলা থেকে তিনতলায় উঠতে কষ্ট হয়। সারাদিন একটা লম্বা চেয়ারে শুয়ে । লেখা বন্ধ । কথাবার্তা কম বলেন । হাসি-গল্প তো নেই-ই। মেজোমামা দেখে complete rest-oo ol দিয়ে গেলেন । শুয়ে থেকে কবি আরও অস্থির হয়ে উঠলেন । Andrews সাহেবকে ডেকে পাঠালেন । পাঞ্জাবে ষে কাণ্ড ঘটছে, তা নিয়ে সমস্ত ভারতবর্ষের মধ্যে একজন লোকও প্রতিবাদ করবে না, এটা কবির পক্ষে অসহ । ס\ צ&