পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার বুকে এটা বিধে রয়েছে কিছু করতে পারবো না, এ অসহ । আর আমি একাই যদি কিছু করি, তবে লোক জড়ো করার দরকার কি ? আমার নিজের কথা নিজের মতো করে বলাই ভালো । এই সম্মানটা ওরা অামাকে দিয়েছিল । কাজে লেগে গেল । এটা ফিরিয়ে দেওয়ার উপলক্ষ্য করে আমার কথাটা বলবার সুযোগ পেলুম। —‘লিপিকা’-র সূচনা । শারদীয়া দেশ পত্রিক1, ১৩৬৭ এই প্রবন্ধ কবির জীবদ্দশায় লিখিত ; বক্তব্য অনুমোদন-পুর্বক ৬ জুলাই ১৯৪১ তারিখে তিনি ইহাতে স্বাক্ষর করিয়া দেন ; ঐ স্বাক্ষর-সংবলিত ংশের প্রতিলিপিও ঐ প্রবন্ধের সহিত দেশ পত্রে মুদ্রিত । প্রবন্ধটির নাম ‘ ‘লিপিকা’-র সূচনা দিবার কী তাৎপর্য, প্রবন্ধের শেষ অংশে ব্যাখ্যাত— আস্তে আস্তে তখন ফর্স হয়ে এসেছে । ঘরের অালো নিবিয়ে দিলুম। Andrews সাহেব এলেন । বড়ো লাটকে তার পাঠানো— খবরের কাগজে দেওয়ার জন্য কপি তৈরি করে তিনি বেরিয়ে গেলেন। রামানন্দ বাবুকে এক কপি এনে দিলুম। এই সব করতে খানিকটা বেলা হয়ে গেল । দুপুরের দিকে আর জোড়ার্সাকোয় মাইনি । বিকালে গিয়ে শুনি কবি দোতলা থেকে তিনতলায় চলে গিয়েছেন । দক্ষিণের শোবার ঘরে গিয়ে দেখি একটা ছোটো বাধানো খাতা, লাল মলাট দেওয়া । তাতে কী লিখছেন । আমি যেতেই বললেন, এই শোনো আরেকটা লেথা, লিপিকার প্রথম মেট লেখা হয় “বাপ শ্মশান থেকে ফিরে এল” । তখন পাঞ্জাব কোথায়, জালিয়ান'লা-বাগ কবির মন থেকে মুছে গিয়েছে । দিনের পর দিন এক একটা করে “লিপিকা’র লেখা চলতে লাগলো। শরীরের ক্লাস্তি, সমস্ত অসুখ তখন একদিনের মধ্যেই সেরে গিয়েছে । —‘লিপিকা’-র সূচনা । শারদীয় দেশ, ১৩৬৭ Փ ) ց