পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Y * > 8 জুন כי לא כל כ હૈં কল্যাণীয়াসু আমার জীবনটা তিন ভাগে বিভক্ত— কাজে, বাজে কাজে এবং অকাজে । কাজের দিকে আছে ইস্কুলমাস্টারী, লেখা, বিশ্বভারতী ইত্যাদি, এইটে হোলো কৰ্ত্তব্য বিভাগ । তার পরে আছে অনাবশ্যক বিভাগ। এইখেনে যতকিছু নেশার সরঞ্জাম । কাব্য, গান এবং ছবি । নেশার মাত্রা পরে পরে তীব্রতর হয়ে উঠেচে । একদা প্রথম বয়সে কবিতা ছিলেন একেশ্বরী — ধরণীর আদিযুগে যেমন সমস্তই ছিল জল। মনের এক দিগন্ত থেকে আর এক দিগন্ত তারি কলকল্লোলে ছিল মুখরিত। নিছক ভাবরসের লীলা, স্বপ্নলোকের উৎসব । তার পরে দ্বিতীয় বয়সে এল কাজের তাগিদ । সেই উপলক্ষ্যে মানুষের সঙ্গে কাছাকাছি মিলতে হোলো। তখনি এল কৰ্ত্তব্যের আহবান । জলের ভিতর থেকে স্থল মাথা তুলল। সেখানে জলের ঢেউয়ে আর উনপঞ্চাশ পবনের ধাক্কায় টলৌ টলে’ কেবল ভেসে ভেসে বেড়ানো নয়, বাসা বাধার পালা, বিচিত্র তার উদ্যোগ। মানুষকে মানতে হোলো, রঙীন প্রদোষের আবছায়ায় নয়, সে তার সুখ দুঃখ নিয়ে স্পষ্ট হয়ে উঠল বাস্তব লোকে । সেই মানব অতিথি যখন মনের দ্বারে ধাক্কা দিয়ে বললে, অয়মহং ভোঃ, সেই সময়ে ঐ কবিতাটা লিখেছিলুম, এবার ফিরাও মোরে। শুধু আমার কল্পনাকে নয়, কলাকৌশলকে নয়, দাবী করলে \○○