পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৬৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বাৰ্ত্তার ভিতর দিয়ে বার বার একটি প্রার্থনাই বেজে উঠছিল, সেটি র্তাদেরই ভাষায় বলি— “আমরা ত হুজুর বুড়ো হয়েছি, আমরাও চলতি পথে, আপনিও চলতি পথে, বড়ই দুঃখ হয়, প্রজা-মনিবের এমন মধুর সম্বন্ধের ধারা বুঝি ভবিষ্যতে বন্ধ হয়ে যায় ” এ দেরি মধ্যে একজন সাশ্রনয়নে ব’লে উঠলেন, “হুজুর, আমরা হিন্দুদের মত জন্মান্তরবাদ মানি না,— মানলে খোদার কাছে এই প্রার্থনাই জানাতাম, বার বার যেন হুজুরের রাজ্যেই প্রজা হয়ে জন্ম নিই।” এই সব প্রজাদের অবস্থা ভাল, এরা কেউ কবিকে এসব কথা খোসামোদ-ছলে বলেন নি। রবীন্দ্রনাথের কথাবার্তা থেকেও বুঝেছি যে, তিনিও তাদের কোন দিন অবজ্ঞা করেন নি,— তাদের নিজের অন্নদাতা হিসেবে মনে করেন। অতীতের পুরনো কথা বলতে বলতে কবি এবং প্রজাদের চোখ ছলছল ক’রে উঠেছে আনন্দের অশ্রীবাম্পে । —পতিসরে রবীন্দ্রনাথ । প্রবাসী, অগ্রহায়ণ ১৩৪৪ পত্র ২২৩ । ১৯৩৭ সালের সেপ্টেম্বর মাসে রবীন্দ্রনাথ অকস্মাং গুরুতরভাবে পীড়িত হইয়া পড়েন, এই পত্রে তাহারই উল্লেখ আছে। গল্পটি গল্পসল্পের অন্তর্গত 'চন্দনী’ ; তাহার স্বচনায় ও শেষে সেই সন্ধ্যার কাহিনী বর্ণিত আছে। গল্পের অন্যতম শ্রোত্রী ক্ষিতিমোহন বাবুর স্ত্রী শ্রীকিরণবালা সেন এই প্রসঙ্গে লিথিয়াছেন— . ১৯৩৭ সালে গুরুদেব হঠাৎ যেদিন অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন সেদিন সন্ধ্যার কথা মনে পড়ছে। সেই গল্পটা তিনি গল্পসল্প বইতে ‘চন্দনী’ নামে লিখেছেন । • • • হঠাৎ গুরুদেব বাইরের চেতনা হারিয়েছিলেন । আড়াই দিনের উপর অচেতন ছিলেন । সেদিনের কথা মনে আছে। তখন তিনি উত্তরায়ণের নীচের তলায় দক্ষিণের ঘরে থাকতেন । বিকেলে 望 う。