পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেই ঘরের দক্ষিণের বারান্দায় এসে বসতেন। অনেকে তার কাছে সন্ধ্যায় গিয়ে বসতেন। সেদিন বাদলার জন্ত পুবদিকের বারান্দায় এসে বসেছিলেন । কেউ কেউ গিয়েছিলেন কিন্তু বেশি সেদিন কেউ যান নাই । কথা হচ্ছিল, তিনি আগে কারো কারো অনুরোধে তখন তখনই বানিয়ে মুখে গল্প বলেছেন কত। এখন আর সে শক্তি নাই । মুখে মুখে তৈরি করে তখনই গল্প বলতে পারেন না এখন । বলেছিলাম কেন পারবেন না। একটা গল্প বলুন। আমরা শুনতে চাই । তারপর একটি গল্প আরম্ভ করলেন । বেশ খানিকট বলে শেষের দিকে বললেন আজ এই পর্যন্ত থাক | ১ O গল্পের শেষের দিকটা কাল আবার বলব। তারপর তিনি শুতে যাবার জন্য ঘরে গেলেন । সুধাকাস্তবাবু সঙ্গে রইলেন । আমরা চলে এলাম ; অল্প পরেই খবর এল যে গুরুদেব অজ্ঞান হয়ে গিয়েছেন। অদ্ভুত কথা । সেন মশায় হোমিওপ্যাখী আর বায়োকেমিক ওষুধ নিয়ে ছুটলেন উত্তরায়ণের দিকে । ...বড়ো গল্পই ফেঁদেছিলেন মনে হয় । তিনি সুস্থ হয়ে ওঠার পর গল্পটা ওঁকে লিখতে বলেছি আমরা । তিনি ঠাট্টা করে বলতেন আমি তো বলেছি এখন তোমরা লিখে দিও। যাই হোক তিনি লিখেছেন “চন্দনী’ নামে গল্পটা। ১১ —শ্ৰীকিরণবালা সেন । শী পুলিনবিহারী সেনকে লিখিত পত্র পৃ ২৪০ । ‘সর্বসাধারণের কাছে আমি বিশ্রাম কামনায় ছুটি চেয়েছি । দ্রষ্টব্য চিঠিপত্র ২ ( ১৩৪৯), পৃ ১১৩ ও তৎসহ ২৫ জুন ১৯৩৮ তারিখের ইংরেজি বিবৃতির খসড়া । (; 8 о