পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বা না মামুক তারা সেই বেদ্য পুরুষকে জেনেচে, সেই মহান আত্মাকে, সেই বিশ্বকৰ্ম্মাকে, র্যাকে জানলে মৃত্যুর অতীত হওয়া যায়। সম্প্রদায়ের গণ্ডীর ভিতরে থেকে বাধা অনুষ্ঠানের মধ্যে র্তারা পূজাকে নিঃশেষিত করে তৃপ্তিলাভ করতে পারেন না, কেননা, তারা মনের মানুষকে দেখেচেন মনের মধ্যে, মানুষের মধ্যে নিত্যকালের বেদীতে । দেশ বিদেশের সেই সব নাস্তিক ভক্তদের আমি আপন ধৰ্ম্মভাই বলেই জানি । সত্য কথা বলি, বিদেশেই তাদের বেশি দেখলুম, কিন্তু তারা যে দেশে থাকেন সে দেশ বিদেশ নয়, সে যে সৰ্ব্বমানবলোক। সেই দেশেরই দেশাত্মবোধ আমার হোক এই আমার কামনা । তোমার চিঠিতে বারবার তুমি লিখেচ, নিজের দেশের কাছ থেকেই নিতে হবে । সত্য কথা, কিন্তু নিজের দেশ সকল দেশেই আছে, অন্য দেশের যা কিছু শ্রেষ্ঠ তা সকল দেশের— যদি অভিমানে বা অশক্তিতে তা না নিই তবে নিজের সম্পত্তিকে অস্বীকার করা হয়,— বিশ্বমানবের বেদীতে যে নৈবেদ্য দেওয়া হয়, জ্ঞানের প্রেমের কৰ্ম্মের, তাতে সকল মানুষেরই ভোগের অধিকার,— তাকে নিয়েও যদি জাত মানতে হয় তবে সঙ্কীর্ণভাবে হি হু হয়েই মরব মানুষ হয়ে বঁচিব না। যদি বলে নকল, তা নিজের দেশের নকলও নকল, পরের দেশের নকলও নকল— যে কৰ্ম্ম খাটি তা নকল নয়, যা মেকি তাই নকল, তার উপর স্বদেশেরই ছাপ থাক আর বিদেশের । তোমাকে সম্প্রতি আমার লেখা যে বই পাঠিয়েছি তার মধ্যে অামার বিশেষ কোনো উপদেশ আছে বলেই তোমাকে পাঠিয়েছি (te