পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

আমার । কিন্তু অবকাশ নেই। আজ সার জগদীশচন্দ্র মধ্যাহ্নভোজনে আমাকে নিমন্ত্রণ করেচেন। কোথাও বেরই নে, এ রকম ভোজেও আমার রুচি নেই, কিন্তু জগদীশের আহবান এড়াতে পারিনে। সাজসজ্জা করে বেরতে হবে । এদিকে অম্বুবাচীর আকাশ অম্বুবাচনে মুখর হয়ে উঠেচে । কিন্তু গিরিরাজের প্রকাশ বাম্পে আচ্ছন্ন । চিঠির মধ্য দিয়ে তোমার লেখা যতই পড়ি যেমন আনন্দিত ও বিস্মিত হই তেমনি মনে বেদনাও বোধ করি । তোমার মধ্যে যে সংরাগ যে আবেগ যে প্রবল প্রকাশের শক্তি তা প্রতিহত হয়ে তোমাকে পীড়িত করচে । বিধাতা তোমাকে শক্তি দিয়েছেন অথচ ক্ষেত্র দেন নি এর চেয়ে বিড়ম্বন আর কিছু হতে পারে না । আজ আর সময় নেই । ইতি ৯ আষাঢ় ১৩৩৮ দাদা శిరి ২৭ জুন ১৯৩১ હૈં দাৰ্জিলিং কল্যাণীয়াসু ধৰ্ম্ম সম্বন্ধে আমার যে মত, চিন্তা প্রণালী দিয়ে তার সঙ্গে তোমার হয় তো মিল হবে না, কিন্তু ভাবের দিক দিয়ে মিল হবে। তোমার হৃদয় যে গন্ধে আনন্দ পেল, হয় তো ঠিক জানল না সে গন্ধ রজনীগন্ধার বন থেকে আসচে, কিন্তু আনন্দটি সত্য। যদি ঐখানেই শেষ হোত তাহলে কথা ছিল না, আনন্দ যদি আমার (ζ 3