পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

অবকাশ পাবার সম্ভাবনা নেই, তাই কেবল চিঠিতে তর্কই করেচি। সে তর্ক যে পরিমাণে আঘাত করে সে পরিমাণে তৃপ্তি দেয় না । লেখার ভাষায় বাদপ্রতিবাদগুলো কঠোর হয়ে পড়ে— বাক্যের পশ্চাতে যে মন থাকে সে মনের সবটা প্রকাশ পায় না । ইতি ৩০ আষাঢ় ১৩৩৮ দাদা २३ [ ভূপাল ] ২০ জুলাই ১৯৩১ \ર્કે কল্যাণীয়াসু পয়লা নম্বর সুকিয়া স্ট্রীটে তোমাকে যে চিঠি লিখে এসেচি সেটা তুমি পাও নি বলে আশঙ্কা করচি। না যদি পেয়ে থাক সেটা আমার ক্রটিবশত হতে পারে। অামি অন্ত্যমনস্ক মানুষ, তোমার ঠিকানায় হেমন্তবালা না লিখে হেমন্তকুমারী লিখেছিলুম —এটাকে অপরিশোধনীয় ভ্রম বলা যায় না তবু কৰ্ম্মচারীদের পক্ষে যথেষ্ট বাধাজনক বলে ঠেকতে পারে । তোমার শেষ চিঠিখানি শান্তিনিকেতন থেকে ফিরে রেলগাড়িতে বৰ্দ্ধমানে আমার হস্তগত হয়েচে । রাজভবনে আছি, অপরিচিত ঘর, অনভ্যস্ত আসবাব, সময় যে নেই তা নয় কিন্তু সে যেন অন্তের দেওয়া মোটর গাড়ির মতো, কতটা তাকে খাটাতে পারব, কখন বলতে হবে, বাস আর নয় ঠিক জানি নে— মন তাই আপনার وخ وهم