হয়, যখন তার কৰ্ম্ম তার চিস্তা মরণধৰ্ম্মী জীবলীলাকে পেরিয়ে ষায়, যখন তার ত্যাগ তার প্রয়াস সুদূর দেশ সুদূর কালকে আশ্রয় করে, তার আত্মীয়তার বোধ সঙ্কীর্ণ সমাজের মধ্যে খণ্ডিত হয়ে থাকে না । এই বোধের দ্বারা আমরা এমন একটি সত্তাকে অন্তরতমরূপে অনুভব করি যা আমার ব্যক্তিগত পরিধিকে উত্তীর্ণ করে পরিব্যাপ্ত। তখন সেই মহাপ্রাণের জন্যে মহাত্মার জন্তে নিজের প্রাণ ও আত্মমুখকে আনন্দে নিবেদন করতে পারি। অর্থাৎ তখন আমি যে জীবনে জীবিত সে জীবন আমার আয়ুর দ্বারা পরিমিত নয়। এই জীবন কার ? সেই পুরুষের, যিনি সকলের মধ্যে ও সকলকে অতিক্রম করে, উপনিষদ র্যার কথা বলেছেন “তং বেদ্যং পুরুষং বেদ যথা মা বো মৃত্যুঃ পরিব্যথাঃ” । কেবলমাত্র জপতপ পূজাৰ্চনা করে তার উপলব্ধি নয়, মানুষের যে-কোনো প্রকাশে মহিমা আছে, বিজ্ঞানে দর্শনে শিল্পে সাহিত্যে ; অর্থাৎ যাতে সে এমন কিছুকে প্রকাশ করে যার মধ্যে পূর্ণতার সাধনা আছে। এ সমস্তই মানুষের সম্পদ, ক্ষণজীবী পশুমামুষের নয়, কিন্তু সেই চিরমানবের,— ইতিহাস র্যার মধ্যে দিয়ে ক্রমাগতই বৰ্ব্বরতার প্রাদেশিকতার সাম্প্রদায়িকতার বন্ধন কাটিয়ে সৰ্ব্বজনীন সত্যরূপকে উদঘাটিত করচে । সকল ধৰ্ম্মেই র্যাকে সৰ্ব্বোচ্চ বলে ঘোষণা করে তার মধ্যে মানবধৰ্ম্মেরই পূর্ণতা,— মানুষ যা-কিছুকে কল্যাণের মহৎ আদর্শ বলে মানে তারই উৎস র্যার মধ্যে । নক্ষত্ৰলোকে মানবের রূপ নেই মানবের গুণ নেই, সেখানে কেবল বিশ্বশক্তির নৈর্ব্যক্তিক বিকাশ, বিজ্ঞান তাকে \Nobz
পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৪
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।