পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সন্ধান করে, কিন্তু মানুষের প্রেম ভক্তির স্থান সেখানে নেই। মহাপুরুষেরা সেই নিত্যমানবকেই একান্ত আনন্দের সঙ্গেই অস্তরে দেখেচেন, কিন্তু বারে বারে তাকে নানা নামে, নানা আখ্যানে, নানা রূপ কল্পনায় দূরে ফেলা হয়েছে, এমন কি অনেক সময় মানুষ তাকে নিজের চেয়েও ছোট করেচে— এবং ভূমার সাধনাকে সঙ্কীর্ণ ক্ষেত্রে আধ্যাত্মিক ভোগবিলাসের সামগ্ৰী করে তুলেচে । তুমি প্রশ্ন করেচ বলেই এত কথা বললুম, নতুবা তর্ক করে তোমাকে পীড়া দিতে আমি ইচ্ছা করি নে। সত্য যদি নিতান্তই আত্মতৃপ্তির উপকরণমাত্র হোত তবে যে অভ্যাসের মধ্যে যে সুখ পায় তাই নিয়েই তাকে থাকতে বলা যেত। সত্যের সঙ্গে ব্যবহারে তৃপ্তি গৌণ, মুক্তি মুখ্য— যে ক্ষুদ্রতার আবরণ থেকে মুক্তি হলে নিজেদের স্পষ্ট করে জানি অমৃতস্য পুত্রাঃ সেই মুক্তি— তার সাধনায় দুঃখ আছে। আমরা দ্বিজ, একটা জন্ম পশুলোকে, আর একটা জন্ম মানবলোকে, এই দ্বিতীয় জন্মের জন্যেই প্রার্থনা করি আসতো মা সদগময় । ইতি ২০ জুলাই ১৯৩১ দাদা \e)