পাতা:চিঠিপত্র (নবম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৯০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দেয়াল গাথবার উৎসাহ জাগে । এইরকম গুহাবাসের সন্ন্যাসকে আমি মানি নে ; গুহার বাইরের বিরাট জগৎকে আমি গুহার চেয়ে বেশি সত্য বলেই জানি । সেই জন্তেই, কোনো আধ্যাত্মিক নামধারী গুহার মধ্যে ঢুকলেই আমার পরমার্থ লাভ হবে এমন লোভ যদি কোনো খেয়ালে আমাকে পেয়ে বসে তবে ক্ষণকালের মধ্যে হাপিয়ে উঠে তার থেকে বেরিয়ে আসব সন্দেহ নেই। যদি বলো অনেকে ত নিজেকে অবরুদ্ধ করার সাধনায় শেষ পর্য্যন্ত টিকে যায়। আমার উত্তর এই, মাড়োয়ারি মহাজন তো রাত্রি আড়াইট পৰ্য্যন্ত আড়তের গদিতে রুদ্ধ থাকে, মুনফাও জমে। কোনো একটি জাতের মুনফাকেই একান্ত করে সেইটেকেই চরম লাভ বলা লোভের কথা । চলমান জগতে যা কিছু চলচে সমস্তকেই অধিকার করে পূর্ণস্বরূপ আছেন অতএব, মা গৃধঃ, লোভ কোরো না —এই হোলো ঈশোপনিষদের প্রথম শ্লোক। পূর্ণকে উপলব্ধি করতে যদি চাই তবে কোনো একটা ংশে চৈতন্ত্যকে রুদ্ধ করাই লোভ এবং ব্যর্থতা, তাকে বিষয়সুখই বলি আর আধ্যাত্মিক আনন্দই বলি। এই হোল আমার নিজের কথা। সাহিত্য শিল্প বিজ্ঞান দর্শন লোকসেবা সব দিকেই নিজেকে মুক্তি দেওয়ার দ্বারাই পূর্ণকে উপলব্ধি করব— চিত্তে র্তার বিচিত্র প্রকাশের পথকে সব জানলার যোগেই খুলে রেখে দেব তবেই আমার মনুষ্যত্ব সার্থক হবে । যুরোপের সাধকেরা যে মুক্তির পথে অসীম অধ্যবসায়ে মানুষের সহায়তা করচে তাকে আমি সকৃতজ্ঞ শ্রদ্ধার সঙ্গে স্বীকার করেচি, আবার ভারতীয় সাধকেরা আপনার মধ্যে আত্মজ্যোতিদর্শনের যে সাধনাকে গ্রহণ a 8