পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র ১৩৭ মাঝে মাঝে নিদ্রাকর্ষণও হয়— মাঝে মাঝে অন্ত্যমনস্ক ভাবে জলের ঢেউ বা তীরের ঝাউবনের দিকে তাকিয়ে থাকি, এবং কখন অলক্ষিতভাবে মনের মধ্যে এমন সকল প্রসঙ্গ প্রবেশ লাভ করে যার সঙ্গে সরস্বতীদেবীর কোন সুদূর সম্পর্কও নেই। যেটা লিখচি আগে থাকতেই তার নাম দিয়ে রেখেচি অনঙ্গ আশ্রম । নামট। অনেকের মনোরঞ্জক হবে বোধ হয়— কারণ উনবিংশ শতাব্দীর কলিতে বহুবিধ ফিলজাফির দেীরাত্ম্যে আমাদের শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মগজ থেকে আর সমস্ত দেবতাই দৌড় দিয়েচেন “কেবল অনঙ্গদেব রয়েছেন বাকি ৷” “রয়েছেন বাকি” বল্লে ঠিক বলা হয় না— উক্ত Non-Regulation Province-aş aştfHot SJ coirg fsfn ক্রমশঃ দিব্যি হৃষ্টপুষ্ট হয়ে উঠচেন— যদিও আজকাল র্তার নিজনামে তাকে ডাকলে রুচি-ব্যভিচার দোষে দণ্ডণীয় হতে হয়। হায় হায়, পূৰ্ব্বে দেবতাদের কাছে যে নামে র্তার পরিচয় ছিল, এখন মানবসমাজে সে নাম তিনি লজ্জায় গোপন করতে চান— আমরা এত শিক্ষিত এত উন্নত হয়ে উঠেছি। বোধ হয় সভ্যতার উন্নতিসহকারে “প্রেম” শব্দটাও ক্রমে শ্রুতিলজ্জাজনক হয়ে উঠবে— তখনকার যুবকেরা আমাদের বইগুলো বালিষের নিচে লুকিয়ে রেখে গোপনে পড়বে, সেইজন্যে বোধ হয় এখনকার চেয়ে ঢের বেশি ভাল লাগ বে। আবার তখন যদি সাধারণ ব্রাহ্ম থাকে তবে তারা না জানি কি রকম প্রচণ্ড পবিত্রতা প্রচার করবে । সে কথা মনে করলে আমাদের মত কবিদের হৃৎকম্প উপস্থিত