পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র ૨ઉ છે সামনে দাড়িয়ে হাসিমুখে যদি তুড়ি মারে তাহলে সে যেমন হয় এও তেমনি । যে অমর তার ত প্রকাগু হবার দরকার করে না, মৃত্যুই আপনার আয়তনের প্রসার নিয়ে বড়াই করে। তোমাদের সবুজপত্র ঐ তালগাছটিরই মত দিগন্তবিস্তৃত বাৰ্দ্ধক্যের মরুদরবারের মাঝখানে একলা দাড়াক । জরাসন্ধের দুর্গ ভয়ানক দুর্গ— সেখানে প্রকাণ্ড কারাগার, সেখানে লোহার শিকলের মালার আর অস্ত নেই । কিন্তু তার ভয়ঙ্কর কড়া পাহারার মধ্যেও পাণ্ডব এসে প্রবেশ করে, তার সৈন্য নেই সামন্ত নেই ; সেই নিরস্ত্র তারুণ্য কত সহজে কত অল্প সময়ে জর-সন্ধকে ভূমিসাৎ করে দিয়ে তার কারাগারের দ্বার ভেঙে দেয় ; সেখানে বন্দী ক্ষত্রিয়দের মুক্তিদান করে । আমাদের দেশেও জরাসন্ধের তুর্গের মধ্যে দেশের ক্ষত্রিয়েরাই বন্দী রয়েছে, যারা ক্ষত থেকে দেশকে ত্রাণ করবে, যার দূরে দূরান্তরে আপন অধিকার বিস্তার করবে, যারা বিরাট প্রাণের ক্ষেত্রে দেশের জয়ধ্বজ বহন করে নিয়ে যাবে, আমাদের অশ্বমেধের ঘোড়ার রক্ষক হবে যারা । সেই যুবক ক্ষত্রিয়দের হাত পা থেকে জরার লোহার বেড়ি ঘুচিয়ে দেবার ব্রত নিয়েচ তোমরা ; তোমাদের সংখ্যা বেশি নয়, তোমাদের সমাদর কেউ করবে না, তোমাদের গাল দেবে, কিন্তু জয়ী হবে তোমরাই— জরার জয়, মৃত্যুর জয় কখনই হবে না । তোমাদের সবুজপত্রের দরবারে আমাকে তোমরা আমন্ত্রণ করেচ । তোমাদের সাধনা যখন সবুজপত্রের নাম নিয়ে আপনাকে প্রকাশ করেনি তখনো এই সাধনা আমি গ্রহণ