পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৯২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র २४-७ ও আত্মীয়তা খেলাপের খোটা দিয়ে ঐ নাটকটা দাবী করে। লজ্জার সঙ্গে মানতে হোলো যে অর্থের অভাব মেটাবার জন্যে নাটকটা সৰ্ব্বোচ্চ ডাকে অনাত্মীয় হাটে বেচবার চেষ্টায় অাছি । ৪৷৫ শে টাকা নগদ পাবার আশা আছে—পেলে নিজের ভোগে সে টাকার অপব্যয় হবে না । তহবিল শূন্ত অথচ ভিক্ষ মেলে না বলেই আমাকে ব্যবসাদারী করতে হয় । চেক্ট। ফেরৎ দিতে হয়েচে অথচ আত্মীয়তার সম্মান রাখবার জন্ত্যে কথা দিয়েছিলেম অবিলম্বে একটা কোনো লেখা পাঠাব। ইতিমধ্যে “রায়তের কথা”র উপোদঘাত লিখতে বসলুম— কথায় কথায় লেখা বেড়ে গেল, সময় গেল ফুরিয়ে । এখন আরো একটা কিছু লেখবার মতো শক্তিও নেই অবকাশ ও নেই । অতএব এই লেখাটা যদি ভারতী সম্পাদিকার হাতে উদারভাবে দিতে পারে। তবে এবারকার মতো মাতুল-দায়িত্ব থেকে ছুটি পাই । তোমার বইয়েব ভূমিকারূপে তুমি তো এটাকে ব্যবহার করবেই তার উপরে ভারতীরও পেট ভরবে। এরকম দায়যুক্ত দান ভালো দান নয় জানি তবু নিরুপায় হয়ে একাজ করা গেল। তোমার টীকাসমেত তুমি এ লেখা সবুজপত্রে ও ব্যবহার করলে হয় তো অপরপক্ষে অত্যন্ত আপত্তি না হতে পারে । কয়েকদিন হল কলকাতা থেকে এখানে সাত আটশো মুসলমান গুণ্ডার সমাগম হয়েছিল। রক্তবৃষ্টির পূর্বেই মেঘ গিয়েছে কেটে— সিউড়ি থেকে অবিলম্বে শস্ত্রধারী পুলিস