পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৭৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[૨૧] ॐ পোস্টমার্ক শাস্তিনিকেতন কল্যাণীয়াসু নলিনীর কাছ থেকে বিজয় দশমীর প্রণাম পেয়েছি নবমীর দিনে, তোর কাছ থেকে পেলেম একাদশীতে— গড়পরতা রক্ষা হয়েচে । মন্ট কে আমি বেশ ঠাও রকম চিঠিই লিখেচি। তার কারণ মণ্ট কে আমি অন্তরের সঙ্গে স্নেহ করি। সব সময়ে ওর বুদ্ধি স্থির থাকে না...কিন্তু ওর মনটি খুব সরল, এবং ওর মধ্যে যে ভালোটুকু আছে সে খুব অকৃত্রিম। ওকে যার কথায় কথায় গালমন্দ দিয়ে থাকে ও তাদের চেয়ে অনেক উপরের লোক । এবার শরতে বর্ষায় বেশ রীতিমত প্রণয় চলচে । কাল ছিল আকাশ নিৰ্ম্মল, জ্যোৎস্না নিরাবিল, দিগন্ত বাষ্পবিরল ; আজ সকাল থেকে প্রথমে মেঘের উকিঝু কি, তারপরে তার আনাগোনা, তার পরে এই খানিকক্ষণ হল সমস্ত আকাশ অধিকার করে নিবিড় ধারায় বৃষ্টি । আমি নিজে আছি নিশ্চল, বসে বসে বাইরের আকাশে ঋতুমূতগুলির চলাফের দেখচি। বেশ লাগচে । ইতি শুক্লা একাদশী ১৩৩৫ রবিকাক।