পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

У о о চিঠিপত্র মাকে ব্ৰহ্মময়ী সম্বোধন করে রামপ্রসাদের গানও চালাতে পারিস। ব্যক্তিগত দিক থেকে আমার এ সমস্ত কিছুতেই আপত্তি নেই কিন্তু ব্রাহ্মসমাজের বুকে বসে দাড়ি উৎপাটন অমার্জনীয় । “সৰ্ব্ব জীবে আছে ব্রহ্ম” বল্লে দোষ খণ্ডন হয়— হয়তো “সৰ্ব্বগত ব্ৰহ্ম” ছন্দে মিলতে পারে— মিলুক বা না মিলুক্‌ সৰ্ব্বং খলু ব্ৰহ্ম কোনোমতেই যেন ব্যবহার না করা হয়— মনে রাখিস বাবামশায় থাকলে তিনি কিছুতে এ সহ दद्भaउठन नां । “যদি প্রেম না দিলে প্রাণে” ছোটমেয়েকে দিয়ে গাওয়াতে দোষ নেই। কণ্ঠের যোগ্যতা ছাড়া আন্তরিক যোগ্যতা বিচার করে গান গাওয়াতে গেলে অধিকাংশ গানই অধিকাংশ লোককে দিয়ে গাওয়ানো চলে না । গানের কাগজে রাগরাগিণীর নাম নির্দেশ না থাকাই ভালো । নামের মধ্যে তর্কের হেতু থাকে, রূপের মধ্যে না । কোন রাগিণী গাওয়া হচ্চে বলবার কোনো দরকার নেই, কী গাওয়া হচ্চে সেইটেই মুখ্য কথা, কেননা তার সত্যতা তার নিজের মধ্যেই চরম, নামের সত্যতা দশের মুখে, সেই দশের মধ্যে মতের মিল না থাকতে পারে। কলিযুগে শুনেছি নামেই মুক্তি, কিন্তু গান চিরকালই সত্যযুগে। আর কিছু বক্তব্য নেই। ইতি ১৩ জানুয়ারি ১৯৩৫ রবিক কা