পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র » »ግ কিন্তু খোড়ার পা খানায় পড়ে— ঐ ভিড় ঠেলেই চলতে হয়েছে সমুদ্রের এক তীর থেকে অন্ত তীর পর্যন্ত। যদিও এসে পড়লুম শেষ ঘাটে, তবু ঢাকার দলের ঢাকপিটুনি আরো যেন মেতে উঠচে । তার আওয়াজটা অহঙ্কারের কোঠায় একেবারে পৌছয় না, তা বলতে পারি নে, কিন্তু কেমন যেন আরাম পাইনে, মনটা পালাই পালাই করে। ছেলেবেলায় নতুন বোঠান যথোচিত উৎসাহের সঙ্গে তার দেওরের অভিমান খর্ব করে এসেছেন, সেটা আমি স্তাষ্য বরাদের মতোই মাথা পেতে নিতে অভ্যস্ত হয়েছিলুম, কখনো ভাবতে পারতুম না বিহারী চক্রবর্তীর গৌরবের সীমা আমি কোনো দিন পেরোতে পারব। তিনি তাকে নিজের হাতে পশমের আসন বুনে দিয়েছিলেন, আমি নিশ্চয় জানতুম আমার আসন মাটিতে— আদরের এই উপবাস এমন অভ্যস্ত হয়ে গেছে যে আজ তার প্রাচুর্য আমার পাওনার বেশি মনে না করলেও তাতে অস্বস্তি বোধ করি । জন্মদিনের ডাকের চিঠিগুলো দেখলে বিষম কুণ্ঠ বোধ হয়, ভালো করে পড়িই নে— এই তো আমার অবস্থা, অথচ – যাকগে । প্রমথ আমার প্রস্তাবটা নিয়ে কোমর বেঁধে বসেছে শুনে অত্যন্ত আশ্বস্ত হয়েছি, সম্পূর্ণতার জন্যে পথ চেয়ে রইলুম। বিষয়কে সহজ করা, উপাদেয় করা অথচ পুষ্টিকর অংশে কৃপণত না করা, এ প্রমথ ছাড়া আর কারে দ্বারা হতে পারে न1 ।। তোর তর্জমাও আমাদের কাজে লাগবে । একটু সময়