পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[S] ઉ শাস্তিনিকেতন বোলপুর। ২১ মে, ১৮৯e 2 আমি কিছু দিন থেকে তোমাকে লিখব লিখব করছিলুম। তুমি চুয়োডাঙ্গায় যাবার পর থেকেই তোমার সঙ্গে কথাবাৰ্ত্ত। ভারি হঠাৎ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। দেনার দায়ে একদিন সক্কাল বেলা হঠাৎ বাড়ির গ্যাস্-পাইপ, এবং জলের পাইপ কেটে দিয়ে গেলে যেমন দশ হয় কতকটা সেই রকম। পৃথিবীতে বড় বড় মহাত্মাদের কল্যাণে অনেক বড় বড় সরোবর আছে এবং সেখানে স্নান করে পান করে ভাবের তৃষা সম্পূর্ণ নিবারণ করা যায়, কিন্তু একেবারে ঘরের ভিতরে হাতের কাছে কথোপকথনের নলের ভিতর দিয়ে যে জলের সঞ্চার হয় তার মধ্যে যদিও সাতার দেওয়া, ডুব দেওয়া বা আত্মহত্যা করা যায় না কিন্তু দৈনিক সহস্ৰ সুবিধের পক্ষে সেটি বড় আবশ্বকীয় জিনিষ। কেবল কথোপকথন নয়, খবরের কাগজ, সংক্ষিপ্ত সমালোচনা প্রভৃতি ক্ষণিক সাহিত্য এই রকম জলের কলের কাজ করে ; তারা পূৰ্ব্বোক্ত ভাবসরোবর থেকে জল আকর্ষণ ক’রে অল্পমূল্যে ঘরে ঘরে দ্বারে দ্বারে বিতরণ করে— এইজন্তে বোধ করি অনেক আধুনিক পাঠক সন্তরণ এবং নিমজ্জনমুখ একেবারে বিস্মৃত হয়েছে— কারণ নলের মধ্যে আর সব পাওয়া যায় কিন্তু সরোবরের উদারতা এবং অতলতা তার মধ্যে প্রবেশ করেন। উপস্থিত প্রসঙ্গে এত কথা বলবার