পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SeS চিঠিপত্র আমার “ছবি ও গান” আমি যে কি মাতাল হয়ে লিখেছিলুম তোমার চিঠি পড়ে বোঝা গেল তুমি সেটি সম্পূর্ণ বুঝতে পেরেছ এবং মনের মধ্যে হয়ত অনুভবও করচ। আমি তখন দিনরাত পাগল হয়ে ছিলুম। আমার সমস্ত বাহালক্ষণে এমন সকল মনোবিকার প্রকাশ পেত যে তখন যদি তোমরা আমাকে প্রথম দেখতে ত মনে করতে এ ব্যক্তি কবিত্বের ক্ষ্যাপামি দেখিয়ে বেড়াচ্চে । অামার সমস্ত শরীরে মনে নবযৌবন যেন একেবারে হঠাৎ বস্তার মতো এসে পড়েছিল। আমি জান তুম না আমি কোথায় যাচ্চি মামাকে কোথায় নিয়ে যাচ্চে । একটা বাতাসের হিল্লোলে একরাত্রির মধ্যে কতকগুলো ফুল মায়ামন্ত্রবলে ফুটে উঠেছিল তার মধ্যে ফলের লক্ষণ কিছু ছিলনা। কেবলি একটা সৌন্দর্য্যের পুলক, তার মধ্যে পরিণাম কিছুই ছিল না । তোমাদেরও বোধ হয় এ রকম অবস্থা হয় । * “উড়িতেছে কেশ উড়িতেছে বেশ, উদাস পরাণ কোথা নিরুদেশ, হাতে লয়ে বঁাশি মুখে লয়ে হাসি ভ্ৰমিতেছি আনমনে— চারিদিকে মোর বসন্ত হসিত, যৌবন মুকুল প্রাণে বিকশিত, সৌরভ তাহার বাহিরে আসিয়া রটিতেছে বনে বনে ৷” সত্যি কথা বলতে কি, সেই নবযৌবনের নেশা এখনে