পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র S8 * ভ্ৰাস্ত জীবন নিস্ফল হয়েছে এবং হবে— অতএব এরকম আত্মবিশ্বাস কোন বিষয়ের প্রমাণ বলে ধ’রে লওয়া যায় না । এই দেখ, খুব এক চোট অহমিকার অবতারণা করা গেল— কিন্তু চারটে চিঠির কাগজ পোরাতে গেলে অবশেষে “অহং” বই আর গতি নেই— এতটি জায়গা জোড়া অার কারে। সাধ্য নেই। আর সকল খবর সকল আলোচনাই ফুরিয়ে যায়— এর কথা আর শেষ হয় না— অতএব দীর্ঘ চিঠির প্রত্যাশা কর যদি, ত সৰ্ব্বাপেক্ষ দীর্ঘ এই অহম্পুরুষকে বহুল পরিমাণে সহ্য করতে হবে । কলকাতার খবর জান ? শুনচি “রাজ ও রাণী” আগামী শনিবারে অভিনয় হবে— যদি সুবিধে হয় ত একবার দেখতে যাব।—সাহিত্যসমিতিতে যে অধিবেশনে রৈবতক সমালোচনা হয় সেবারে তুমি ছিলে না— সেজন্তে তোমার আপ শোষ করবার কারণ কিছুই নেই । যে রকম মনে করেছিলুম সে রকম লোক তোমাদের সমিতিতে নেই– অথচ বিশ্ববিদ্যালয়ের দম্ভচুকু আছে । ... অতখানি একটা সমালোচনা পড়ে গেলেন তার মধ্যে না আছে রচনাচাতুর্য্য, না আছে ভাবপ্রাচুর্য্য । তত্ত্বজ্ঞ হতে পারেন কিন্তু রসজ্ঞ কিছুমাত্র নন। অন্ত যারা বসে শুনছিলেন তারাও কেউ বুদ্ধিলক্ষণযুক্ত ঘটে। কথা যুটিয়ে বলতে পারলেন না ... মস্তিষ্কগহবর নিতান্ত কুহেলিকাচ্ছন্ন— অন্যান্ত সভ্যদের এখনো ভালরূপ পরিচয় পাইনি— কিন্তু অনাথনাথ বাবুর বেশ একটি ভজ শোভনভাব আছে এবং তিনি মনে করেন না যে তিনি পৃথিবীতে এসে একটি প্রতিভার অগ্নিকাণ্ড করবেন। ঐরৰীশ্রনাথ ঠাকুর