পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৭৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৩২ চিঠিপত্র তুমি তখন শৈলশিখরে। আমি অসহায়ভাবে একলা বসে বসে ঐ লেখাটাকে নিয়ে অনেক চিন্তা তর্ক পরিবর্তন সংশোধন করেছিলুম— এবং শেষ পৰ্য্যস্ত ঐ লেখাটার ভালমন্দ সম্বন্ধে সম্পূর্ণ নিঃসন্দেহ ছিলুম না। একবার কেবল বঙ্কিমবাবুকে শোনাতে হয়েছিল— তার প্রশংসাবাক্যে অনেকটা নিরুদ্বিগ্ন হয়েছিলুম। তুমি যদি অক্টোবর মাসে দেশ ছেড়ে বেরও আমি তার বহুপূৰ্ব্বেই কলকাতায় ফিরব। বোধ হয় আর পাচ ছ দিনের বেশি দেরি হবে না । আগামী সোম মঙ্গল বারের মধ্যেই রাজধানীতে গিয়ে পৌছবার সম্ভাবনা। পেসিমিজম অপ্টিমিজুম সম্বন্ধে আমার বক্তব্য এই যে নেগেটিভ, এবং পজিটিভ, পোলের মত প্রায় প্রত্যেক মানুষের মধ্যেই একসঙ্গে ঐ ঘটে। অংশ থাকে। কেউবা আচারে ব্যবহারে পেসিমিষ্ট, লেখায় অপ্টিমিষ্ট, কেউবা তার উল্টো । একেবারে দুই পোল জুড়ে আস্ত অপ্টিমিষ্ট, বা পেসিমিষ্ট, বোধ হয় পৃথিবীতে ভুলভ । আমার প্রকৃতিতে আমি যে অংশে চিন্তা করি সে অংশটা বোধ হয় পেসিমিষ্ট, যে অংশে কাজ করি সেটা বোধ হয় অপ্টিমিষ্ট । তোমার মধ্যেও ডুব দিয়ে দেখলে বোধ হয় ছটো জিনিষই পাওয়া যায়।— প্রিয়দের ইতিমধ্যে আসবার কথা ছিল তারা কি এসে পৌচেছে ? বিস্ত্রী ঝড় বৃষ্টিবালার প্রান্তর্ভাব হয়েচে । স্ত্রীরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কৰ্ম্মাটার মঙ্গলবার