পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

>bペ চিঠিপত্র আসে যে এ আমি ভাবিনি, এ আমার মাথায় আসত না, এ আমার কলমে আসা সম্ভব নয়— সেইরকম ঐশ্বৰ্য্যশালী লেখাকে পাঠক অনেকক্ষণ পর্য্যস্ত অস্বীকার করতে চেষ্টা করে-- এইরকম লেখার কাছে পাঠকদের মন পরাভৰ মানতে কষ্ট এবং লজ্জা বোধ করে । আমি বেশ দেখতে পাচ্চি তোমার লেখাগুলিতে একটা ঈর্ষ্যা জাগিয়ে তুলেছে— সেটা প্রশংসাফলেরই কাচা এবং টোকে অবস্থা— ঐটে নিশ্চয়ই ক্রমে আলোয় বাতাসে পাকবে এবং মিষ্টতায় ভরে উঠবে । অ...র লেখা প্রায় আগাগোড়াই তোমার হয়ে উঠেছে— ভালই হয়েছে— ওর হাতে কিছুতেই এরকম বাধুনি হত না । এবং সেই বাধুনির অভাবে ভিতরকার সার কথাটা কোনো জায়গাতেই মালুম দিত না । আমি “আমার জগৎ” নামক একটা লেখা লিখে ভয়ে ভয়ে মণিলালের কাছে পাঠিয়েছি । ভয়ের কারণ এই, এরকম তত্ত্ব আলোচনা আমার অধিকারের মধ্যে নয়। পাছে আমার নামের জোরে তোমরা ওটাকে তরিয়ে দিতে চাও সেইজন্তে মণিলালকে পাঠিয়ে দিয়ে বলেছি যদি সেটা পড়বার সময় তোমার মুখে কোনোপ্রকার সম্পাদকী বিকার দেখা দেয়। তা হলে ওটাকে ফস করে সরিয়ে নিতে । ওটা যদি শিশির বিন্দুর মত তোমাদের সবুজপত্রের উপর থেকে গড়িয়ে মাটিতে পড়ে যায় তাহলে রবির তাপ তাতে বিশেষ বৃদ্ধি হবে না একথা আমি তোমাকে নিশ্চয়ই বলতে পারি। ভেবেছিলুম