পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৪৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৩২ চিঠিপত্র অসময়ে গুঞ্জন করে বেড়ায় বটে কিন্তু বুঝে নিয়েচি সে আমার কপালে নেই। টাকার যা সঙ্গতি হয়েছিল তাতে কিছুই অসম্ভব ছিল না কিন্তু আমার প্রকৃতির মধ্যে আরেক ব্যক্তি আছেন বসে, যার মুখের দিকে তাকিয়ে আমাকে বলতে হয় Thy need is greater than mine I wean sigston পরিসমাপ্তি পর্য্যস্ত আমার অবস্থা কোনোদিনই সচ্ছল হবে না । এক-একবার ক্লাস্ত হয়ে ভাবি একটা সেক্রেটারি রাখা যাক, কিন্তু সে আমিরাটুকুও হিসাবে কুলয় না দেখতে পাই। কেননা রথীর সংসারেও দেখি অনাটন, আমার ইস্কুলেও দেখি তাই, অতএব ডাইনে বায়ে হিসেবের নিষ্ঠুর খাতার দিক থেকে দৃষ্টি বাচিয়ে চক্ষু বুজে মনের শান্তি রাখতে চেষ্টা করি । ঠিক এমন সময়ে যখন ১০ পাসেণ্ট স্বদে হ্যাগুনোটে সই করতে হয় তখন কোথায় যে দাড়িয়ে আছি ঠাওর পাইনে । এদিকে জানি আমার কাছ থেকেই এস্টেট ৩৭০ ০০ হাজার টাকা ধার নিয়েচে— এখনো তার এক পয়স সুদ পাইনি মুদ দাবি করতে গেলে উচ্চহারে স্বদ দিয়ে ধার করতে হবে । অতএব যত রকম সখ আছে সমস্ত থাক এখন কুত্তা বুলিয়ে নিলে বাচি । ডাক্তারের কথা লিখেচ ওটা আলোচ্য বটে। কিন্তু যেহেতু ঐ একটা বড় খরচ যা আমরা নিজের স্বার্থে করিনে প্রজাদের জন্তে করি, এই কারণে ওটাতে হাত দিতে কিছুতে ইচ্ছা করেন । এই ডাক্তার এবং ডাক্তারখানায় আমাদের জমিদারীর এবং তারও চতুস্পার্শ্বের লোকের বিশেষ