পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র 는 8C: যে বর্ণনা তুলে দিয়েছ তার মধ্যে “পতংগ্রহ” কথাটির মানে লিখেচ পিকদানি । কিন্তু তোমার মানে পড়বার আগেই আমার মনে হয়েছিল ওটা হয়ত waste-paper basket-এর মত একটা জিনিস যার মধ্যে আবর্জনা ফেলা যায়। কিন্তু ওর পিকদানি অর্থ টা কি তোমার আন্দোজ, না ওটা পাকা কথা ? গল্পটি কিন্তু তুমি সম্পূর্ণ আমার জীবনবৃত্তান্ত থেকে চুরি করেচ– ঠিক গল্পটি নয় কিন্তু তার বৃত্তান্তটি। কিন্তু খুব উপাদেয় হয়েচে । একে মারাত্মক গল্প বলা যেতে পারে কারণ, বুদ্ধকে মার যে-রকম প্রলুব্ধ করেছিল, তোমার গল্পের উপসংহারে সেই রকম একটি মারের প্রলোভন উদ্যত আছে— সুকুমারমতি পাঠকের নিশ্চয় নিঃশ্বাস ছেড়ে বলবে, আহ ঐ বিধবার সঙ্গে বিবাহ হলেই ত চুকে যায়— কিন্তু তাহলে গল্পের তপস্তা ঐখানেই মাটি । সুরেশের লেখার খানিকট দূর পর্য্যন্ত পড়ে মনে হচ্ছিল তোমার লেখা পড়চি– হঠাৎ পাতা উল্টে দেখলুম সুরেশের নাম । লেখাটি খুব ভাল লাগল । এবারকার সব লেখাই বেশ চোখ চোখ,— তোমার টকা-টিল্পনির ত কথাই নেই। আমি ইস্কুলমাস্টারির মধ্যে তলিয়ে গেছি— ওতে মনটা বাধা পড়েচে । মনটাকে বাধা নিয়েই ত মানুষের যত তপস্যা, এক কথায়, ঐটেকেই বলে মুখ— ছাড়া মনটাই লক্ষ্মীছাড়া— অতএব যতদিন এই ভাবে চলে চলুক। ইতি ১ ভাদ্র ১৩২৫ ঐরবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কেন্থিজের এণ্ডার্সন সবুজপত্র পাননা বলে অভিযোগ