পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/২৮২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ՆԳ] * পোস্টমার্ক, শান্তিনিকেতন কল্যাণীয়েৰু প্রমথ, আমার মনটা অত্যন্ত ক্লাস্ত হয়ে আছে— সেই জন্যেই কোনো রীতিমত লেখায় হাত দিতে পারিনি । রামমোহন রায় লিখতে বসেছিলুম কিন্তু শেষ করিনি । মনে বলে যে, “পৃথিবীর উপকার করা তোমার কাজ নয়। ঐ কাজে বিস্তর লোক লেগেচে, আর ভিড় বাড়ালে বসুন্ধরার ভার হরণের জন্তে খুব মজবুৎ গোছের অবতারের দরকার হবে।” অত্যন্ত গম্ভীর কৰ্ত্তব্যগুলো দেখলে আজকাল কেবল যে ক্লাস্তি আসে তা নয়, হাসি পায় । মনে হয় ওর বারো আনাই মুখোস পরা ফাকি। আমি এখানে যে মস্ত একটা কাজ ফেদে বসেচি তার মহিমা আমাকে আর দাবিয়ে রাখতে পারচে না । আমার পক্ষে এগুলো হচ্চে সময় নষ্ট করবার উপায়— কারণ, আমার জীবনটার শীর্ষদেশে বিধাতার শিলমোহর করা ছুটির মঞ্জুরি হুকুম ছিল। সেইজন্তেই বরাবর ইস্কুল পালিয়েচি অথচ সাজা পাইনি। এই ছুটি নষ্ট করতে বসেচি বলেই আজকাল ভিতরে ভিতরে সাজা পাচ্চি । জরুরি চিঠি জরুরি প্রবন্ধ সমস্ত ঠেলে রেখে মাঝে মাঝে প্রায়ই গান লিখি । যখন লিখি তখন মনে হয় স্বরাজ ব্যাপারটা এমন কিছু গুরুতর জিনিষ নয়— মানুষের ইতিহাসে অনেক স্বরাজ বুদ্ধদের মত উঠেচে আর ফেটে গেছে— কিন্তু যে গানগুলোকে দেখতে বুদ্ধদের মত তার