পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩১১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Sఏby চিঠিপত্র সিমকি বাইজিদের যে ভাওবাৎলানোর নকল করেছে— সেই ভাওবাংলানোতে ভাবের গভীরতা নেই— তাতে নারী অঙ্গে কামনার লহরীলীলা প্রকাশ পায় । কামনা উদ্রেকের দ্বারা মন ভোলানো আর্টের ইতর পস্থা। জাভাতে জাপানে এর লেশমাত্র আভাস পাইনি— এ ইন্দ্রিয়পরায়ণ ভোগলোলুপ চিত্তবিকার থেকে সস্তৃত। যে কল্পনাবৃত্তির উৎকর্ষ থেকে সৌন্দর্য্যস্থষ্টি হয় উদয়শঙ্করের নাচে এখনো তার অপেক্ষা আছে । প্রোগ্রামের আরম্ভেই সেদিন নৃত্যকলাকে বিশ্লেষণ করে ভিন্ন ভিন্ন অঙ্গ চালনার বাহাত্রী দেখিয়েছিল, কোনো যথার্থ আর্টিস্ট, এ কাজ করতে লজ্জা পেত— উপাদানকে উপকরণকে রূপস্থষ্টি যদি না ভোলে তবে তা স্বষ্টিই হয় না । উদয়শঙ্কর এখনো তা ভোলে নি, তার কারণ নদীপথের মুড়িগুলোর উপরে কল্পনানিঝরিণীর ধারা পুরো আনন্দে বইতে পারেনি । ছন্দ সম্বন্ধে আমি যে বক্তৃতা পাঠ করেছি স্থানে স্থানে তার সঙ্গে তোমার এই লেখার অনেক মিল আছে। সেদিনকার ডাকাতি ব্যাপারটা অদ্ভূত। সে যেন ডাকাতির ভাও-বাংলানো— তার বেশি কিছুই না, কেবল ভয়ানক রসের ভাবভঙ্গী— ঝোড়ো রাত্রিট ছিল এর উপযুক্ত পটভূমিকা— কারো লোকসান করেনি, কেবল আলোচনার রস জমিয়ে গেছে । o ব্যস্ত আছি অন্ধ যুনিভর্সিটির বক্তৃতায় । ইতি রবীন্দ্রনাথ