পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[*२v] હ পোস্টমার্ক, মংপু ১১ জুন, ১৯৩৯ কল্যাণীয়েযু তোমার ছোটে। গল্প পড়ে চেকভের ছোট গল্প মনে পড়ল । যা মুখে এসেছে তাই বলে গেছ হালকা চালে । এতে আলবোলার ধোয়ার গন্ধ পাওয়া যায়। এ রকম কিছুই না লিখতে সাহসের দরকার করে । দেশের লোক সাহিত্যে ভূরিভোজন ভালোবাসে— তারা ভাববে ফাকি দিয়েছ— কিম্বা ভারবে ঠাট্ট । বিবি অামার শরীরের খবর চায়— বিশেষ করে বলবার মতো নয় । গ্রীষ্মকালের অজয় নদীর মতো দশা, শ্ৰোত বয় না— এখানে ওখানে প্রয়োজনের মতো জল পাওয়া যায়। খেয়ালমতো লেখার জোগান দিই কিন্তু সে হাটুজলের জোগান । বেঁচে থাকলেই দাবীর অস্ত থাকে না— নাম রক্ষে করার মতো সম্বল কোথায় । আমার অবস্থাটা হয়েছে সেই রকম, যখন পাওনাদার ভিড় করে দাড়ায় অাপিসে, খাতাঞ্চি মুখ লুকিয়ে থাকে বাসায় । সামান্ত কাজ করতেও এত অত্যন্ত বিতৃষ্ণ ও ক্লান্তি বোধ হয় যে বেঁচে থাকাট। দুর্ভর হয়ে উঠেছে। এতদিন ধরে অনেক তো দিয়েছি—কিন্তু দেওয়া একটু বন্ধ হলেই পূর্বদানের উপরেও বদনাম আসে। দীর্ঘায়ুর বিপদ ঐ— সাবেক চালের ভূতটা কাধে চেপে থাকে তার পিশুি জোটে না । আষাঢ়ের আরম্ভে স্বস্থানে ফিরব । রবীন্দ্র