পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२ চিঠিপত্র আমি ইংরেজিভাষা জানিনে, কিন্তু সেটা ইংরেজি ভাষাতেই বলতে হয় বলে কেউ বিশ্বাস করে না, বলে, তুমি ত বেশ খাস ইংরেজি বলচ। অনুরোধ এড়ানোর বিদ্যাট আজও আয়ত্ত হয়নি। বলতে পারব না একথা বারবার বলার চেয়ে বক্তৃত৷ করা আমার পক্ষে সহজ । এমনি করে আমেরিকায় আমার টুটি চেপে ধরে বক্তৃতা বের করে নিলে। এসম্বন্ধে সেখানে খ্যাতিও লাভ করেছি—কিন্তু তবু আজ পর্য্যস্ত আমার মনে হয় ওগুলো দৈবাৎ লেখা হয়ে গেছে। ইংরেজি ভাষায় যে অনেকগুলো অত্যন্ত নড়নড়ে জিনিষ আছে— যেমন ওর articleগুলো, są prepositionezer, so shall ar will– eersti 5 সহজজ্ঞান থেকে জোগান দেওয়া যায় না, ওর শিক্ষা থাক। চাই। এখন বুঝতে পারচি আমার মগ্ন চৈতন্য আমার subliminal consciousness & Noss setni Atso onto গৰ্ত্তের ভিতরকার কীট সম্প্রদায়ের মত বাসা বেঁধে রয়েছে— যখন হাল ছেড়ে দিয়ে চোখ বুজে লিখতে বসি তখন অন্ধকারে ওরা সুড়সুড় করে বেরিয়ে এসে আপনাদের কাজ সেরে দিয়ে যায় কিন্তু জাগ্রৎ চৈতন্তের আলো দেখলেই ওরা অত্যন্ত এলেমেলো হয়ে দৌড় দিতে থাকে— সুতরাং ওদের সম্বন্ধে কোনোমতেই শেষ পর্য্যস্ত মনের মধ্যে ভরসা পাইনে—সুতরাং আজ পর্য্যস্ত একথাটা সত্য রয়ে গেল যে আমি ইংরেজি ভাষা জানিনে। ঠিক জানিনে বল্পে একটু অত্যুক্তি করা হয়, কিন্তু নাহং মন্তে সুবেদেতি নো ন বেদেতি বেদ চ। আমি তোকে সত্য কথাই বলচি, একয়ট ইংরেজি প্রবন্ধ লিখতে পেরেছি