পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২৬ , চিঠিপত্র এখানে কারো কাছে পাঠিয়েছিলেন । এরা তাকে বল্লেন এটাকে সম্পূর্ণ নূতন করে না লিখলে চলবে না। তাতে তিনি জবাব দিয়েছিলেন, কেন, রবীন্দ্র ঠাকুরের ভাষা যদি চলে থাকে তাহলে আমার কেন চলবে না। তিনি মস্ত ভুল এই করেছিলেন যে তিনি মনে করেছেন ভাষার উপরেই বুঝি এর নির্ভর । একথা খুবই সত্য ইংরেজি ভাষা নিয়ে অভিমান করতে পারি এমন আয়োজন আমার জীবনে করাই হয়নি— কিন্তু যে কারণেই হোক জগৎটাকে আমি যেমন করে উপলব্ধি করেছি সেটা আমার আন্তরিক সত্য জিনিষ—সেই সত্যটুকুকে তার নিজের তাগিদেই অামি প্রকাশ করবার চেষ্টা করে এসেছি—এইজন্তে ইস্কুল মাষ্টারকে ফাকি দিয়েও আমি নিজের জীবনটাকে ফাকি দিইনি—ইংরেজি ব্যাকরণের কাছে আমার যত অপরাধই থাক সাহিত্যের কাছে অপমানিত হবার মত অপকৰ্ম্ম খুব বেশি করিনি। কিন্তু আমি বেশ দেখতে পাচ্চি ইংরেজিতে আমাদের দেশের শিক্ষিত ব্যক্তিদের চেয়ে অনেক র্কাচ থাকা সত্ত্বেও ইংরেজি সাহিত্যে আমি স্থানলাভ করতে পেরেছি এজন্য আমাকে ক্ষমা করা এবং ঘটনাটিকে সরল ও উদার ভাবে গ্রহণ করা অনেকের পক্ষে দুঃখকর হয়ে উঠবে। মে মাস পড়েছে, আজ ২২শে বৈশাখ কিন্তু তবু এখানে আকাশ ঝাপসা, আলো ঘোলা এবং সূর্য্যদেবের সোনার ভাণ্ডারের দ্বার একেবারে এটে বন্ধ । মাঝে মাঝে মন্দ মন্দ বৃষ্টিও হচ্চে, ভিজে স্যাৎসেঁতে হাওয়ায় আজও ঘরে আগুন