পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র 之° জালাতে হচ্চে। ভাল লাগচে না—কেননা আমি আলোর কাঙাল ; আমার সেই বোলপুরের মাঠের উপরে একেবারে আকাশ উপুড় করে ঢাল আলোর জন্তে হৃদয় পিপাসিত হয়ে আছে। কিন্তু যখন ভেবে দেখি দেশে ফিরে গিয়ে চারিদিক থেকে কত ছোট কথাই শুনতে হবে, কত বিরোধ বিদ্বেষ, কত নিন্দাগ্লানি, তখন মনে মনে ভাবি আরো কিছু দিন থাক, যতদিন পারি এই সমস্ত কাকলী থেকে দূরে থাকি। কিন্তু অপ্রিয়তাকে পাশ কাটিয়ে চলা চলে না, তাকে ঠেলে চলাই হচ্চে প্রকৃষ্ট পন্থা—নদীর ধার দিয়ে দিয়ে গিয়ে নদী পার হওয়া যায় না, একেবারে ঝাপ দিয়ে পড়ে দুহাত দিয়ে ঢেউ কাটিয়ে তবেই পারের ডাঙায় ওঠা সম্ভব— যা ভাল লাগে না তাকে এড়িয়ে এড়িয়ে ডরিয়ে ডরিয়ে চলব না, তাকে সমস্ত বুক দিয়ে ঠেলা দিয়েই চলে যাব— এই প্রতিজ্ঞাটাকেই আঁকড়ে ধরে রাখা ভাল। অতএব বক্তৃতাগুলো হয়ে যাক এবং বই ছাপাবার ব্যবস্থাটা সমাধা হোক তার পরেই পূৰ্ব্বমুখে পাড়ি দেওয়া যাবে। জ্যোৎস্নার সঙ্গে আজও দেখা হয় নি, সে লণ্ডনের বাইরে কোথায় থাকে। আজ মেবল তাদের বাসায় চ খেতে নিমন্ত্রণ করেছিল । আমেরিকা থেকে ফিরে আসার পর এতদিন কেউ খবর পায় নি তাই চুপচাপভাবে চলছিল ক্রমে ভিড় হবার লক্ষণ দেখা দিচ্চে। এই টানাটানিটা কিছুতেই সহ্য করতে পারিনে— নিমন্ত্রণ চিঠি পাবামাত্রই আগেভাগে o