পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র । • LO বলেছিলেন আমি জানি যে আমি কিছুই জানিনে। ওকথা বললেই জানবার জন্তে দায় স্বীকার করতে হয়। আমার মতো ইস্কুল-পালানে ছেলের কাছে তা প্রত্যাশা করা যায় না । সেইজন্তে দিমু যখন ভুল করে ‘বিশ্ববাণারবে শেখালে, আমি বল্লুম বেশ হচ্চে, এই রকম হওয়াই উচিত। বুঝেচিস কেন ? যদি বলি অন্য রকম হওয়া উচিত তাহলে হাঙ্গামা বাড়ে। তুই হয় ত রেগে মেগে শাপ দিয়ে বসবি, তোমার গান তাহলে সকলে যা-ইচ্ছে-তাই করে গাক্ । সে শাপে আমার বেশি লোকসান হবে না— কেননা বিধাতা তোর অনেক আগেই আমার উপরে সেই শাপ জারি করেচেন । রাহু যাকে গ্রাস করবেই, কেতুকে সে ডরিয়ে কি করবে ? “আন্তের প্রতি সেইরকম ব্যবহার কর, অন্তে তোমার প্রতি যেরকম ব্যবহার করলে তুমি খুসি হও । গান সম্বন্ধে এই নীতিবাক্য আমি গ্রহণ করতে পারলুম না— কেননা গ্রহণ করতে গেলেই অন্তের গান মন দিয়ে শিখতে হয়। গান শেখ সম্বন্ধে আমার তৎপরতা কি রকম সে তুই জানিস। যদি বলিস দিমু এমন কাজ করলে কেন ? তার কারণ মহাজনে৷ যেন গত: স পন্থা’। কুঁড়েমির মহৎ দৃষ্টান্তে অভিভূত করে না, এমন লোক কোটিকে গুটিক মেলে। মানুষকে ক্ষম। করতে গেলে মানুষকে বুঝতে হয়— সেই জন্তে এতক্ষণ ধরে তোকে বোঝাবার চেষ্টা করা গেল— কিন্তু ক্ষমা করবি কিনা আমার সন্দেহ রয়ে গেল। ইতি ২১ অগ্রহায়ণ ১৩২৬ রবিক।