পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৫৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র து 86t খুব তীব্র ছিল, কিন্তু সে সমস্তই জীবনের লীলার সঙ্গে মিশে গিয়েছিল। তাতে যে কোনো ফুল ফোটেনি, ফল ফলেনি তা নয়— তার অনেক ফুল এখনো মান হয়নি, তার অনেক ফল এখনো টিকে আছে। সেই ফুলে ফলেই পৃথিবীতে অামার পরিচয় । যে কাজ দায়িত্বের সে কাজ ক্ষণকালের— যে কাজ খেলার স্থষ্টি সেই কাজেই চিরকালের ছাপ। আমার ভয় হচ্চে বিশ্বভারতীতে খেলার চেয়ে দায়িত্ব পাছে বড় হয়ে ওঠে। এরকম অনুষ্ঠানের মধ্যে যে অংশটা আইডিয়া সেইটেই বিশুদ্ধ আনন্দ— আর যে অংশটা নিয়ম ও ব্যবস্থা সেইটেই হচ্চে বিষম দায়— সেট। যদি আইডিয়াকে চাপ। দিয়ে আটে ঘাটে আষ্টে পৃষ্টে পাকা হয়ে ওঠে তা হলেই পাকা বুদ্ধির লোকে খুসি হয়ে ওঠে, কিন্তু স্বষ্টিকৰ্ত্তার তাতে বিতৃষ্ণ হয়। মানুষ মুক্তি পেতে চায়, তার মানে স্থষ্টিকৰ্ত্তার স্বরূপ ও অধিকার পেতে চায় ; অর্থাৎ কাজ পরিহার করে মুক্তি নয়, কিন্তু খেলাকেই কাজ করে তুলে তার মুক্তি । বৈষ্ণবের তত্ত্ব হচ্চে যুগল মিলনের তত্ত্ব— কাজের সঙ্গে খেলার একাত্ম মিলনই হচ্চে সেই যুগলমিলন। যাই হোক এই সুদীর্ঘ আলোচনা শুনে ভয় পাস নে । তোর মনে হতে পারে যে, যে-হেতু মেীনং সন্মতি লক্ষণং সেই কারণে বকনি অসম্মতি লক্ষণং। তোর অনুরোধ মনে রইল, হঠাৎ হয়ত একসময়ে ধুইয়ে ধুইয়ে জলে উঠৰে। ইতি ২৭ বৈশাখ ১৩২৯ রবিকাকা