পাতা:চিঠিপত্র (পঞ্চম খণ্ড ১৯৪৫)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/৬০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চিঠিপত্র 8వె এক সময়ে আমার জীবনের ক্ষেত্র বহুবিস্তীর্ণ হয়ে পড়ল । সেটা যেন আমার জন্মাস্তরের মত। সেই আমার নব জন্মের জন্মদিন এতদিন চলে এসেচে । যেটাকে আমার জন্মাস্তর বললুম তাকে আমার পরলোক বলাও চলে। অর্থাৎ যার পর ছিল তাদের মধ্যেই একদিন আমার অভ্যর্থনা সুরু হয়েছিল। তোদের লোক থেকে এই লোকাস্তরগতকে তোরা হয় ত তেমন স্পষ্ট করে দেখতে পাস নি। যে ঘাট থেকে জীবন যাত্র প্রথম মুরু করেছিলুম, আমার কাছেও মাঝে মাঝে তা ঝাপসা হয়ে আসছিল – কিন্তু এটা হল মধ্যাহ্ন কালের কথা। এখন অপরাহুের মূলতানী স্বর হাওয়ায় বেজে উঠেচে । আলো কমে এল । এখন দেখতে পাচ্চি ভোর বেলা আর গোধূলি বেলার একই গোত্র। অর্থাৎ প্রথম আলোয় যেখান থেকে যাত্রা সুরু হয়, শেষ আলোয় সেইখানেই যাত্রা শেষ হতে চায় । সেইটেই হল প্রাণের টানের জায়গা । সেখানকার অন্নপূর্ণ জীবনের প্রথম ক্ষুধার অন্ন খাইয়ে দিয়ে । যাত্রাপথে এগিয়ে দেন– তিনি অপেক্ষা করেই বসে থাকেন ক্ষুধিতকে দিনশেষের ভোজে ডেকে আনবার জন্যে। এবারে যখন থেকে শরীর অপটু হয়ে পড়ল, তখন থেকেই আমার কারখানা ঘরের দরজা যেন বন্ধ হয়ে আসচে। বেরিয়ে এসেই দেখি যেখানে ভিড় নেই সেখানে আমার বালককাল । সেখানে যে বিশ্বপ্রকৃতি ভোর বেলায় আমাকে বুকের কাছে টেনে নিয়ে লালন করেছিল, সেই প্রকৃতিই সন্ধ্যাযুখীর মাল৷ আমার জন্তে গেথে রেখেচে । পেয়েছি তার স্পর্শ, তার