পাতা:চিঠিপত্র (প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

হচ্ছে। রবিকাকা কারও কাছ থেকে তাড়া খেয়ে কৈফিয়ৎ লিখছেন। সাধনা সম্পাদক অধম আমার প্রতি লেগেছেন— কিন্তু আমি বিশ্বস্তসূত্রে তাঁর অবস্থা সম্বন্ধে যা শুনলুম তাতে অনেকটা ঠাণ্ডা আছি। এইবেলা দিন থাকতে কাকীমা একটা কিছু বিহিত বিধান কর। যদিও মধ্যম-নারায়ণের দরকার হয় তা’ লিখলেই হবে— এখানে একজন বেশ ভাল কবিরাজ আছে। নীদ্দা যে সত্ পরামর্শ দিয়েছিলেন তা শুনলুম। হাজার হোক্ জ্যেষ্ঠ কিনা— আঁচে বুঝে নিয়েছিলেন বোধ হয়। তাঁর উপদেশ মেনে চল্লে সম্পাদক মশায়ের এ দুর্দ্দৈব ঘট্‌তো না।

 মাঝে থেকে যশ আর জ্ঞান দুই ভাই তাড়া খেয়ে এল। জ্ঞানচন্দ্র ত খুব রসিকতা করেছিলেন, তাড়ার বেশি যে খান নি এই ভাগ্যি। বেচারা যশকে দোষ দেওয়া যায় না। ওর কি মাথার ঠিক ছিল? ড্রপসিন ফেলে লোকের হাত ভেঙ্গে দেবে তাতে আর আশ্চার্য্য কি। নীদ্দার কাজ নিদ্দারই পোষায়— তাঁর হাত থেকে এলো। ছেলেমানুষদের দিয়ে ওসব করা কেন?

 কলকাতায় শুনছি কাকীমা গরম পড়েছে। এখানে কাল থেকে আবার শীত পড়েছে। আমরা গরম পড়লে বেঁচে যাই— সবাই হাঁ করে আছি। আজকাল দুপুর বেলায় খুব হাওয়া দেয়— আর নদী তোলপাড় করে। কিন্তু এমনি বালি ওড়ে যে নিজের মুখ নিজে দেখা যায় না।

 একটা নতুন খবর দিয়ে রাখি শোন। রবিকাকা সেদিন হঠাৎ টের পেলেন যে, তিনি পার্লামেণ্টের সম্পাদক ছিলেন। খবরটা আগে জানতে?

৮৮