পাতা:চিঠিপত্র (প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১২৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।

অনেকটা]। তুমি ভাই আমার চিঠিটা কেবল বাজে কথা দিয়ে পুরিয়ে দিয়েছো। [সাধে!] সখি সমিতিতে কে কি সাজবে তা আমার শুনে কি দরকার বল। আমার তো এবারে সাজতে হবে না তাহলেই হোলো। আমি খুব বাঁচন বেঁচে গেছি। এই বয়সে এক্‌টিং করতে প্রাণ বেরিয়ে যায়। সুইদা বেচারার ভারি কষ্ট তিনি সবে ইনফ্লুয়েন্‌জা থেকে উঠেছেন। তাঁর কত ভার পড়েছে। একদিকে সাধনার ভার সখিসমিতির...। তিন দিন খাড়া দাঁড়িয়ে থেকে প্রমট করা ষ্টেজ ম্যানেজ করা ভয়ানক হয়ে উঠবে। বোধহয় তিনি পেরে উঠবেন না [খুব পারবেন] আমার তো বাপু ভারি মায়া করে। তুমি বোলতাকে লক্ষ্মী ছেলে বলেছ! কে না বোলতাকে লক্ষ্মী ছেলে বলে— সকলেই বলে। তুমিও বল আমরাও বলি। বোলতা দুবেল। আমাদের বেড়াতে নিয়ে যান। তুমি আরবারে এসে যে চরের উপর পথ হারিয়েছিলে আমরাও তার উপর এখন বেড়াতে যাই। সেবারে তোমার সঙ্গে শশাংক ছিল। বোলতা বলেন তোমাকে নিয়ে তিনি অস্থির হোয়ে পড়েছিলেন। [অসাক্ষাতে নিন্দে নয়?] তুমি যেখানে যেখানে কাটি পুঁতেছিল [সেখানটা] দেখলুম। সেই সব কাটির চিহ্ন [আর তোমার] জুতোর খুরের চিহ্ন দেখে রবিকাকা বলে উঠলেন আমার এই সব চিহ্ন দেখে বড় কান্না পাচ্ছে। আমি [বল্লুম] আর কেঁদনা আর কেঁদনা ছোলা ভাজা দেবো বলে অনেক সান্ত্বনা দিতে লাগলুম। তবে চুপ করেন। রবিকাকা আজ থেকে ঘি খেতে আরম্ভ করেছেন। বড় লক্ষ্মী। [না হয়ে করেন কি? পারলে তো?] কিছু পেড়াপীড়ি করতে হয় নি। যেমন শুনেছেন তোমার হুকুম অমনি

৯০