পাতা:চিঠিপত্র (প্রথম খণ্ড)-রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর.pdf/১৪৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দাঞ্জিলিং কল্যাণীয়াস্থ ...বহুদিন পূৰ্ব্বে একদিন নাটোরের মহারাজ পদ্মাতীরে আমার বোটে আতিথ্য গ্রহণ করেছিলেন । তার সঙ্গে কথা ছিল প্রতিদিন তাকে একটা কিছু সম্পূর্ণ নতুন জিনিষ খাওয়াব । মীরার মা ছিলেন এই চক্রান্তের মধ্যে— তিনি খুব ভাল রাধতে পারতেন । কিন্তু নতুন খাদ্য উদ্ভাবনের ভার নিয়েছিলুম আমি । সেই সকল অপূৰ্ব্ব ভোজ্যের বিবরণসহ তালিকা আমার স্ত্রীর খাতায় ছিল । সেই খাতা আমার বড় মেয়ের হাতে পড়ে । এখন তারা দুজনেই অন্তহিত । আমার একটা মহৎ কীৰ্ত্তি বিলুপ্ত হ’ল। রূপকার রবীন্দ্রনাথের নাম টিকতেও পারে, স্থপকার রবীন্দ্রনাথকে কেউ জানবে না --- ইতি ৫ নভেম্বর ১৯৩১ দাদা হেমন্তবালা দেবীকে লিখিত চিঠিপত্র ৯, পৃ. ১১ : কল্যাণীয়াসু ...একদা পদ্মার চরে নাটোরের মহারাজ জগদিন্দ্র কিছুকাল আমার অতিথি ছিলেন— প্রতিদিন তার জন্তে নুতন একটা করে ভোজ্য আমি উদ্ভাবন করেছি—সেটা প্রস্তুত করবার ভার ছিল যার পরে তারও কিছু কৃতিত্ব তার সঙ্গে সংযুক্ত ছিল । এসব তিনি লিখে রেখেছিলেন খাতায়, সেই খাতা দখল করেছিল আমার বড়ো মেয়ে— সেও নেই, খাতাও অদৃশু— Զ Փ Եր